ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় আটকে পড়া ফেরি

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১

ঢাকা: ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে লক্ষ্মীপুরের বিরিবিরি চরে আটকে পড়া ফেরি কিষাণী ৬দিনেও উদ্ধার হয়নি।

ফেরি উদ্ধারের জন্য রোববার আরও একটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।

তবে কখন ফেরি উদ্ধার করা সম্ভব হবে তা বলতে পারছে না কর্র্তৃপক্ষ।

এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এ রুটের উভয়পাড়েই আটকা পড়ে আছে ২ শতাধিক যানবাহনের কয়েক হাজার যাত্রী।

পারাপারের অপেক্ষায় থাকা নার-শিশুসহ এসব যাত্রী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

ফেরিতে আটকাপড়া ট্রাকের চালক কামাল হোসেন বাংলানিউজ বলেন, ‘আমি কিস্তিতে গাড়ি কিনেছি। ৫ দিন ধরে ফেরিতে আটকা আছি। এভাবে আটকে থাকলে কীভাবে মাসের কিস্তি দিব। ’

তিনি বলেন, ‘বাড়িতে লোকজন না খেয়ে আছে। আর গাড়িতে সেমাই চিনি যদি ঈদের আগে না যায় তাহলে এগুলো কী করবে মালিক। নদীর মাঝখানে আছি খাবার কিছুই নাই কেউ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। ’

ফেরি ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শুধু জাহাজ দিয়ে ফেরি উদ্ধার সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার পূর্ণ জোয়ার।

তিনি জানান, বিকেল সোয়া ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পূর্ণ জোয়ার থাকে। এ সময় যদি বালি সরে যায় তাহলেই কেবল ফেরি উদ্ধার সম্ভব। অন্যথায় ফেরি উদ্ধার ব্যাপক ড্রেজিং করতে হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ৩টি ফেরি চলাচল করে আসছিল। কিছুদিন আগে কামিনী নামের একটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর থেকে দুটি ফেরি দিয়েই চলছিল যানবাহন পাড়াপাড়ের কাজ। কিন্তু গত ১৭ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলাগামী কিষানী নামের ফেরিটি ৪টি যাত্রীবাহী বাস ও ৮টি মালবাহী  ট্রাকসহ ১৫টি যানবাহন নিয়ে বিরিবিরি চরে আটকা পড়ে। ওই দিন দুপুরেই আটকাপড়া যাত্রীদের অন্য যানবাহনে করে ভোলায় নেওয়া হয়।

এর ৩দিন পর শনিবার বিআইডব্লিউটিসির জাহাজের সাহায্যে আটকাপড়া ফেরি উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু সারাদিন চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।