ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
বিদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

চলতি বছরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

ঢাকা: চলতি বছরে প্রায় সাড়ে সাত লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু’র চেয়ারপারসন অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী।

‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০১৬: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক।
 
তাসনিম সিদ্দিকী জানান, পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি নারী কর্মীদেরও বিদেশে যাওয়ার হার বেড়েছে। তবে অভিবাসন খাতে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
তার মতে, গত চার দশকেও কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা সম্ভব হয়নি। দেশে-বিদেশে মধ্যস্বত্ত্বভোগীর দৌরাত্ম্য এখনো কমেনি।
মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অভিবাসন এখনো আশানুরুপ হয়নি।

তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, চলতি বছরে গত ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৯ জন কর্মী উপসাগরীয় ও অন্যান্য আরব দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
 
এ সংখ্যা বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে একটি ব্যাপক সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী অভিবাসনও গত বছরের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেড়েছে। সৌদি আরব ও কুয়েতের মতো পুরনো শ্রমবাজারে আবারো
কর্মী যেতে শুরু করেছেন। তবে চলতি বছরে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম।

তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে অভিবাসন এবং উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক ফোরামের নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও অধিকারের দাবি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে। দেশের নিরাপত্তা ও অভিবাসন ইস্যুতে নিজেদের জোরালো অবস্থান দেখাতে বাংলাদেশকে তার নৈতিক ও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শাহদীন মালিক বলেন, বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি কিছু সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। কেউ অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়লে সরকার বলছে, দায়িত্ব নেবে না। এটা মধ্যযুগীয় চিন্তা। সরকারকে এ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক কর্মী বিদেশে গিয়ে অপহরণকারীদের হাতে অপহৃত হয়ে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব পরিবারকে সর্বস্ব বিক্রি করতে হচ্ছে। এ সিন্ডিকেট অপরাধ দমনে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।