মাদারিপুর: মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ রুটে সোমবার সকাল ৮টা থেকে টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর দুপুর দেড়টার দিকে চালু হয়েছে। পদ্মা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে সকালে ডুবোচরে একটি ফেরি আটকে যাওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে উভয় পাশে চার কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।
বিআইডব্লিউটিসি’র মাওয়া জোনের এজিএম মো.আশিক্জ্জুামান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ডুবোচরের কারণে আগের সবকটি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাউলিয়ার চ্যানেল চালু করে ফেরি চলাচল শুরু করানো হয়েছে।
তিনি জানান, নতুন চ্যানেলে ২০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে ফেরি যাতায়ত করতে হবে। এতে ১ ঘন্টা বেশি সময় লাগবে।
তবে যেভাবে দ্রুত পদ্মার পানি কমে আসছে তাতে শিগগিরই এ চ্যানেলটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আশিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘দ্রুত নাওডোবা চ্যানেলটি ড্রেজিং করা না হলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এই চ্যানেলটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রুটের অপর হাজরা চ্যানেলটি আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। ’
কাওড়াকান্দি ঘাট কর্তৃপক্ষ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, রোববার রাত ৮ টায় কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের নাওডোবা চ্যানেলে রো রো ফেরি ভাষাশহীদ বরকত ডুবোচরে আটকা পড়ে। এতে রাত ১১টা থেকেই রুটের সব ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ৩টার দিকে ফেরিটি উদ্ধার করার পরে আবার রুট চালু হয়। সোমবার সকালে একই চ্যানেলে রানীগঞ্জ ফেরী ডুবোচরে আটকে পড়ে। এতে সকাল ৮ টা থেকে রুটের সকল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাঁচচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মো. আসাদুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটের সকল ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার ফলে ঘাটে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে বিশৃংখলা যাতে না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৪২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০