মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে আতিয়ার রহমান (৪০) নামের এক চরমপন্থি নেতা প্রতিপরে হাতে নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বানিয়াপুকুর গ্রামের পিরতলা মাঠের কাছে পাকা রাস্তার উপর থেকে আতিয়ারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বানিয়াপুকুর গ্রামের মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা আতিয়ার রহমানকে তার প্রতিপরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জবাই করে হত্যা করে। তার নামে হত্যা, বোমা হামলা, ছিনতাই, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আতিয়ার রহমানের প্রথম স্ত্রী সেলিনা খাতুন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, কিছুদিন আগেই আতিয়ার বোমা হামলা ও হত্যা মামলায় জেল খেটে বাড়িতে ফিরে আসেন।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে বেড়াতেন আতিয়ার। একবার বিদেশ গিয়ে সেখানে বেশি দিন থাকতে না পেরে আবারো বাড়িতে ফিরে আসেন বলেও জানান তারা।
ওসি মতিয়ার রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিবে আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী আতিয়ার ছিলো এলাকার ত্রাস। তার অত্যাচারে মানুষ ছিলো অতিষ্ট। ’
তিনি বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকা- ঘটতে পারে।
আতিয়ারের প্রথম স্ত্রী সেলিনা খাতুন আরও অভিযোগ করেন, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে একই গ্রামের হজরত আলীর স্ত্রী ২ সন্তানের মা ডলি খাতুনকে জোর করে বিয়ে করেন আতিয়ার। তখন থেকেই নতুন স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের জনৈক রবিউল ইসলামের বাড়িতেই থাকতেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বানিয়াপুকুর গ্রামে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার পর আতিয়ার হত্যাকা-ে গোটা এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০