ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

ন্যাশনাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গম্ভীর পরিবেশে রোববার সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

এ দিবসে বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ দিবসে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের খুনিদের মধ্যে যারা এখনো পলাতক রয়েছেন তাদের ধরে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ওঠে।



দিনের শুরুতেই ধানম-ি ৩২ নম্বর সড়কে স্বাধীনতার স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাদের শ্রদ্ধা জানানোর পরপরই ৩২ নম্বর সড়কে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। এ সময় লাখো জনতা শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন ৩২ নম্বর সড়কে।

সকালে সাড়ে ছয়টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পরপরই জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ তিন বাহিনীর প্রধানরাও শ্রদ্ধা জানান।

পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদ ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি-লীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে যান। ছোট বোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে ছিলেন। পিতার স্মৃতিবিজড়িত ভবনে তারা কিছু সময় কাটান।

এ বাড়িতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিহত হন জাতির জনক।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দিলে সেখানে জনতার ঢল নামে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কমিটি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় তারা স্লোগান ধরেন, ‘শোক দিবসের অঙ্গীকার, রুখতে হবে রাজাকার’, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। ’

ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর নেতা-কর্মীরা যান বনানী কবরস্থানে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানেও জনতার ঢল নামে।

এরপর সকাল সোয়া ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

সশস্ত্র সালাম জানায় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দিবসটি পালন করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজিয়ে, দোয়া কোরআন খানি করে দিনটি পালন করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন।

শোকের আবহে দিনটি কাটায় গোটা দেশ। সারা দেশে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, বন্দর, গঞ্জ থেকেও আসে জাতীয় শোক দিবস পালনের খবর।

সারা দেশ থেকেই এই দিন বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ দিবসে তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের খুনিদের মধ্যে যারা এখনো পলাতক রয়েছে তাদের ধরে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২, আগস্ট ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।