ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাইকোর্টের ক্ষমা পেলেন আইনজীবীরা, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১১
হাইকোর্টের ক্ষমা পেলেন আইনজীবীরা, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ঢাকা: আদালতে হাতাহাতি ও হট্টগোল এবং এজলাশে কম্পিউটারের ভাঙ্গা অংশ ছুড়ে মারার ঘটনায় হাইকোর্টের ক্ষমা পেলেন ১১ অভিযুক্ত আইনজীবী। তাদের আইন পেশা চালিয়ে যাওয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।



তবে পুলিশের করা মামলায় নি¤œ আদালতে জামিন না মঞ্জুর হওয়াতে সকল আইনজীবীকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননা ও আইন পেশা চালিয়ে যাওয়ার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।

বিকেল ৪টায় আইনজীবীদের আদালতে হাজির করা হয়।

তবে এর আগে রোববার সকালে নি¤œ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে দুপুরে হাইকোর্টের উপরোল্লিখিত বেঞ্চ আইনজীবীদের আদালতে হাজির করতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিনারকে নির্দেশ দেন।

বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন সকালে নিম্বআদালতে জামিন প্রত্যাখ্যাত ১০ আইনজীবীসহ ১৩ আইনজীবীর পক্ষেই আদালতে ক্ষমার জন্য আবেদন করলে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত এ সময় প্রেসিডেন্ট খন্দকার মাহবুব হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা মানুষ, আমাদেরও ভুল হতে পারে। আমাদের ভুলের জন্য আরেকটি কোর্ট আছে। ’

যেসব আইনজীবীর পক্ষে ক্ষমা পেলেন তারা হচ্ছেন- বিএনপি সাংসদ ও আইনজীবী সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক রাজন, অ্যাডভোকেট সহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল আরেফিন স্বপন, অ্যাডভোকেট এনামুল হোসেন গাফফার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান খান ও অ্যাডভোকেট খৃস্টান নবী ওরফে গোলাম নবী।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টে বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর, সরকারি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ২ আগস্ট রাতে শাহবাগ থানায় গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা এসএম সোলাইমান ১৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

আদালত এলাকায় হাতাহাতির ঘটনা ৪ আগস্ট তদন্ত করতে এলে তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিলকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মারধোর করে। এ ঘটনায় আবদুল জলিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করেন।

এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সর্বোচ্চ আদালতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। হাইকোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা দফায় দফায় আলোচনায় বসেন।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বৈঠকে পলাতক ১০ আইনজীবীকে ১৪ আগস্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময় ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।