ফরিদপুর: মাত্র পাঁচ দিন আগে (৮ আগস্ট) স্বামী হারিয়েছেন নেহার চৌধুরী (৮০)। স্বামী হারানোর শোকের ক্ষতচিহ্ন এখনো দগদগে।
ছেলের এ মৃত্যু সংবাদ তাকে জানানো হয় একদিন পর রোববার সকালে।
সংবাদ শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর উপর। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাথর হয়ে গেছেন তিনি। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এ বৃদ্ধা মাতা। এক সপ্তাহের মধ্যে স্বামী ও সন্তান হারিয়ে তিনি যেমন শোকের সাগরে ভাসছেন।
অন্যদিকে পাঁচদিনের ব্যবধানে বাবা ও ভাইকে হারিয়ে ভাই বোনেরা কান্না করতে ভুলে গেছে। পুরো পরিবারটি যেন শোকের সাগরে নিমজ্জিত। তাদেরকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই প্রতিবেশিসহ আত্মীয় স্বজনদের।
ভাঙ্গার নুরপুর গ্রামসহ জেলার মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে শোকাবহ পরিবেশ।
শনিবার মানিকগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরপুর গ্রামে। প্রথিতযশা এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। গ্রামের বাড়িতে থাকেন শুধু তার মা ও ভাই সাঈদ মাসুদ। ছেলের অকাল মৃত্যুর সংবাদটি শনিবার রাত পর্যন্ত জানানো হয়নি তার অসুস্থ্য মা নেহার চৌধুরীকে।
বাবার মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলের মাত্র দুইদিন আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে নূরপুর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শৈশবে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেছেন। তারপর তিনি ভাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে ঢাকা চলে যান। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১১