ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রামাণ্য নাঈমুল ইসলাম খান গ্রন্থের পাঠোম্মোচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১
প্রামাণ্য নাঈমুল ইসলাম খান গ্রন্থের পাঠোম্মোচন

ঢাকা: প্রকৃতিতে চলছে শ্রাবণের পড়ন্তবেলা। বর্ষার বৃষ্টিস্নাত বিকালে জড়সড় হয়ে আছে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরের সবুজ বৃক্ষগুলো।

অলস সময় পার করছে ফাঁকা গণগ্রন্থাগার চত্বর। কিন্তু তার মাঝেও ব্যতিক্রম কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের ছোট মিলনায়তন। মন্ত্রী, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, কবি, লেখক, সাংবাদিক, অভিনেতা, বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে কে নেই এখানে? সকলের আগমনে মিলনায়তন পরিণত হয়েছে মিলন মেলায়।

অনুষ্ঠানের নাম পাঠোম্মোচন রাখা হলেও পুরো অনুষ্ঠান ছিলো কীর্তিমান এক সাংবাদিকের আত্মম্মোচন। আর এই আত্মম্মোচন অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় উঠে এসেছে ৯০ পরবর্তী আধুনিক সাংবাদিকতা যে সময়ের নায়ক নাঈমুল ইসলাম খান।

ঘড়ির কাঁটায় সময় বিকাল চারটা পার হয়ে পাঁচটা ছুঁই ছুঁই। এ সময় বাংলাভাষা ও বাংলার চার কিংবদন্তি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শামসুর রাহমানকে স্মরণ করে শুরু  করা হয় প্রামাণ্য নাঈমুল ইসলাম খান বইয়ের পাঠোম্মোচন।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক গোলাম রহমান, কবি রফিক আজাদ, আবু হাসান শাহরিয়ার, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, অভিনেতা আফজাল হোসেন, নাঈমুল ইসলাম খান এবং তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তার তিন কন্যা। বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের পদচারনায় সাদামাটা ছোট্ট মঞ্চখানিও সেজেউঠেছিলো রঙ্গিন সাজে।

প্রামাণ্যে নাঈমুল ইসলাম খান বইটিতে ৮২ জন সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের  বিখ্যাত ব্যক্তি, লেখক, কবি ও অভিনেতার লেখা রয়েছে। আবু হাসান শাহরিয়ার সম্পাদনায় বইটি প্রকাশ করে মুক্তদেশ প্রকাশন।

পাঠোম্মোচন করতে গিয়ে অতিথিরা দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের প্রশংসা করে বলেন, সৃষ্টিশীলতাই তার নেশা। নতুনত্বকে বুকে নিয়ে শুরু করেন তিনি। তবে তাকে শেষ করতে হয় পূর্ণতা রুপ দিতে না পারার বেদনা নিয়ে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘নাঈমুল ইসমলাম খান আপনি পুরানো ধারার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করে সাংবাদিকতায় নতুনত্ব নিয়ে এসেছেন। আপনাকে সম্মান জানাতে এসে আমি নিজেই সন্মানিত বোধ করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাঈমুল ইসলাম খানকে আধুনিক সংবাদপত্রের পথপ্রদর্শক আর অধ্যাপক আসিফ নজরুল জীবন্ত সংবাদপত্র বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘নাঈম ভাই অনেক কিছু শুরু করে কিন্তু শেষ করে যেতে পারে না। তারপরও তিনি যা করেছেন তাতে তিনি সংবাদপত্র জগতে অমর হয়ে থাকবেন।

 বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘আমরা জহুরুল ইসলাম বা মানিক মিয়াকে পাইনি। তবে বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় আধুনিকতা আনয়নে নাঈম ভাইয়ের কাজ দেখেছি। তিনি বর্তমান সময়ের জীবন্ত কিংবদন্তি। তার সাথে আমরা যারা কাজ করতাম আজ তারা বিভিন্ন পত্রিকা লিড করছি।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রত্যেকে একটা পর্যায়ে এসে থামতে হয়। আমিও একটু বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমি যে অনুপ্রেরণা পেলাম তাতে আমি আরো ২৫ বছর অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতে পাবো। ’

এসময় তিনি সকলের কাছে আরো দীর্ঘদিন ভালভাবে কাজ করতে পারার দোয়া প্রার্থনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, কবি ফরিদ কবির, বোরহান কবির, আব্দুন নূর তুষার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল হামিদ, অভিনেতা জয়ন্ত আচার্য্য প্রমুখ।


বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ঘণ্টা, ১২ আগস্ট ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।