রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে মাইক্রোপ্যাথ প্যাথলজিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মহিবুল হাসানকে মারপিট করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর জন্য স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার সমর্থকদের দায়ী করা হয়েছে। ঘটনার জের ধরে রাতেই ডাক্তার মহিবুলের সমর্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লক্ষ্মীপুরে মহানগর যুবলীগ ও রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে ডা. মহিবুলের সমর্থকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিংকু হোস্টেলের স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামানের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কক্ষও ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষ এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত পৌণে ১টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিংকু হোস্টেলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িতদের আটকের জন্য তল্লাশি চালাচ্ছিল।
মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামানের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ডা. মহিবুলের চেম্বার মাইক্রোপ্যাথ প্যাথলজিতে গিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করে।
টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ডা. মহিবুলকে মারপিট করে তার শার্ট ছিড়ে ফেলে। ডা. মহিবুলের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা লক্ষ্মীপুর মোড়ের মহানগর যুবলীগ ও রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের অফিসে এবং যুবলীগ নেতা আসাদের চেম্বার ভাঙচুর করে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও।
পরে ছাত্রলীগের ওই গ্রুপটি আবাসকি হোটেল আমানুরসহ কয়েকটি হোটেলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে রামেক ক্যাম্পাস ও মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাতে মহানগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত। কে, কী করেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১১