বরিশাল: খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকছেন না বেপরোয়া চালকরা। এ ধরনেরই অপরিনামদর্মী এক চালকের কারণে এবার মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৪ যাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকায়।
এ ঘটনায় ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনজেনটা ফার্মাসিটিউক্যালের ১৪ কর্মকর্তাকে নিয়ে রাস্তার পাশের খালে পরে ডুবে যায় মাইক্রোবাসটি। ঘটনাটি স্থানীয় এক মৎস্য শিকারি দেখে ফেলায় দ্রুত সাহায্য পান মাএক্রা যাত্রীরা এবং বেঁচে যান।
মাইক্রো যাত্রী রহিম খান জানান, ভাড়ার একটি মাইক্রোবাস নিয়ে অফিসের কাজে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে মাইক্রোবাসটি গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকায় পৌঁছালে চালকের মোবাইল ফোনে কল আসে।
এসময় চালক গাড়ির গতি না কমিয়ে এক হাতের সাহায্যে ড্যাশ বোর্ড থেকে মোবাইল ফোন বের করে কথা বলতে থাকেন। অপর হাতের সাহায্যে গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশের খালে পরে ডুবে যায়।
তিনি জানান, ডুবন্ত মাইক্রোবাস থেকে তাদের এক ব্যক্তি উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকারী মৎস্য শিকারী মোশারেফ হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় ভেসাল জাল দিয়ে খালে মাছ শিকার করছিলেন তিনি।
হঠাৎ দেখতে পান একটি মাইক্রোবাস সড়ক থেকে খালে পড়ে ডুবে যায়।
তাৎক্ষনিক তিনি তার কাছে থাকা হাতুড়ি নিয়ে খালে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ডুব দিয়ে মাইক্রোবাসের পিছনের গ্লাস ভেঙ্গে সকল যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের সকল যাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট, ২০১১