ঢাকা: ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের পিস্তলের গুলিতেই সেগুনবাগিচার আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম আহমেদ মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের ৬ নম্বর ব্লকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শাওনের গাড়িচালক কামাল হোসেন কালা এ অভিযোগে শনিবার শেরেবাংলানগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং-১৬) দায়ের করেছেন।
কামাল হোসেন কালা’র লিখিত এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে শেরেবাংলানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, শাওনের লাইসেন্স করা পিস্তল নাড়াচাড়া করার সময়েই ইব্রাহিম আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। ’
রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘এমপি শাওনের পিস্তলটি জব্দ করে পরীক্ষার পরই বলা যাবে ওই পিস্তল থেকে কে গুলি চালিয়েছিল। ’
গাড়িচালক কামাল হোসেন এজাহারে আরও বলেন, সন্ধ্যায় এমপি শাওন ও ইব্রাহিম আহমেদকে নিয়ে পাজেরো জিপ (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-১৪০০) চালিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের ৬ নম্বর ব্লকের সামনে যান। সেখানে নেমে তারা সংসদ ভবনের ৫৩ নম্বর কক্ষে পৌঁছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই চালক কামাল হোসেন ও ইব্রাহিম আহমেদ গাড়ির কাছে ফিরে আসেন। চালক পাজেরো জিপটি ধোয়া মোছার কাজ করাকালে জিপের ভিতরে শাওনের রেখে যাওয়া পিস্তল নিয়ে ইব্রাহিম আহমেদ নাড়াচাড়া করছিলেন। হঠাৎ করেই ট্রিগারে চাপ পড়ায় এক রাউন্ড গুলি বেরিয়ে ইব্রাহিমের চোয়ালে ঢুকে কাঁধ ফুটো করে বেরিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক দাবি করেছেন, ইব্রাহিম আহমেদের কাঁধে গুলির স্পিন্টার পাওয়া গেছে। খুব কাছ থেকে, প্রায় চোয়ালে ঠেকিয়েই গুলিটি করা হয় বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে শুক্রবার রাতে নিহত ইব্রাহিম আহমেদের মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জানাজা হয়। এরপর দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী পূবাইল এলাকায় নানা’র কবরের পাশেই ইব্রাহিম আহমেদেকে দাফন করা হয়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়নি।
শুক্রবার রাতে শাহবাগ থানার পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত ইব্রাহিম আহমেদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম শনিবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কে জানান, শেরেবাংলানগর থানা এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তার মতে,এক্ষেত্রে শাহবাগ থানার কোনো ভূমিকা নেই।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১০