ঢাকা: অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেছেন ‘৭১ এ দুই ধরনের মুক্তিযোদ্ধা ছিল। স্বেচ্ছা মুক্তিযোদ্ধা ও বাইচান্স (ঘটনাচক্রে) মুক্তিযোদ্ধা।
বুধবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মহফিলে তিনি একথা বলেন। ’
তিনি আরও বলেন, এ আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে আমাকে একজন বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আরেকজন প্রশ্ন করেছিলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততে না পারলে রূপকল্প ২০২১ এর কি হবে। আর যে ভাবে চলছে তাতে আওয়ামী লীগ জিততে পারবে তো? এবং নির্বচনে জিততে হলে কি করা প্রয়োজন। প্রশ্নগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক।
ইশতেহারের অনেক বিষয় বাস্তবায়ন হয়নি বলেও তিনি জানান।
‘এক নম্বর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রব্যমুল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ’
‘দুই নম্বরে ছিল দারিদ্র দূর করা এবং ৩ নম্বরে ছিল দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি। ’
‘পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে দারিদ্র ৪০ শতাংশ থেকে কমে ৩১ শতাংশ হয়েছে। আমি এই পরিসংখ্যান বিশ্বাস করিনা। কারণ দারিদ্রের সংজ্ঞা বড় ব্যপক। ’
‘বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এই এক ধরণের প্রতারণা। জনগণকে বোকা ভাবলে তার চেয়ে কেউ বোকা নেই। ’
‘আওয়ামী লীগকে ২০১৪ সালে নির্বাচনে জিততে হলে, মন্ত্রীদের কর্মকান্ডের ৬টি মাপকাঠিতে মূল্যায়ন করতে হবে। ’
মাপাকাঠি গুলো হচ্ছে, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে কতটা বিশ্বাস করেন, ফিতা কাটতে ব্যস্ত বেশি কারা, কোনো মন্ত্রী বিদেশ সফর করতে ভাল বাসেন বেশি, কোনো মন্ত্রী এলাকায় যাননা, কোনো মন্ত্রী আমলা নির্ভর এবং আমলাদের চালাতে মন্ত্রীদের দক্ষতা কেমন। ’
বঙ্গবন্ধু এই বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখেননি। তিনি দেখেছিলেন বৈষম্যহীন অর্থনীতি এবং অসাম্প্রদায়িক মানসকাঠামো। যার কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি।
বঙ্গবন্ধু মানুষকে কখনও করুনা করেন নি। তিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছেন সব সময়।
ডা. এসএ মালেক বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীতে পরিস্থিতির কারণে অনেক ছাড় দিতে হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী দোষারোপ করা বা হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি সবকিছুই যানেন। সময় মতো সবকিছু করবেন তিনি। ’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএ মালেক এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, তথ্য কমিশনের সদস্য ড. সাদেকা হালিম, সাংবাদিক শফিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন বীরবিক্রম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১