ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এলাকাবাসীর হামলায় মাগুরায় কাউন্সিলর-পুলিশসহ আহত ১০

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১

মাগুরা : জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেন কেটে পানি বের করতে গিয়ে মাগুরায় বুধবার এলাকাবাসীর হামলায় পৌরসভার এক কাউন্সিলর ও দুই পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ এ সময় ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।



মাগুরা পৌর মেয়র আলতাফ হোসেন দুপুর ২টায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত ৭ দিন অব্যাহত বর্ষণের ফলে মাগুরা শহরের বেশ কয়েকটি মহল্লা পানিতে ডুবে যায়।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ভায়নার মোড়ে টিটিডিসি পাড়া এলাকায় জমে থাকা পানি বের করতে পুরনো একটি কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য পৌর কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের নিয়ে আমি ওই এলাকায় যাই। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার ও আবু জাফর রিপনের উপস্থিতিতে এলাকার নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে খনন কাজ শুরু করি। কিন্তু হঠাৎ করে  স্থানীয় সন্ত্রাসী রহিমের নেতৃত্বে একদল যুবক এ খাল কাটা হলে তাদের বাড়িঘর ডুবে যাবে এ মিথ্যা অজুহাত দিয়ে খনন কাজে বাধা দেন। এ সময় তারা অতর্কিতে পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রোডস অ্যন্ড হাইওয়ে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ও সড়ক নির্মাণের ফলে মাগুরা শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ’

ইতোপূর্বে যারা মাগুরা পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেও দায়ী করে  পৌর মেয়র এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পৌর মেয়র আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমি মাত্র ৪ মাস পৌর মেয়ররের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কিন্তু, হঠাৎ করেই বিগত দিনের ভেঙে পড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাতারাতি উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পৌরসভার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সড়ক জনপথের সহযোগিতার প্রয়োজন। কিন্তু তারা আমাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। ’

তিনি সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুদ্ধভাবে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে সড়ক ও জনস্বাস্থ্য বিভাগ পৌরসভাকে সহযোগিতা না করলে আমি নিজ দ্বায়িত্বে মাগুরাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুটি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেবো। ’
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি আলমগীর শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামলাকারীদের ঠেকাতে গেলে গেলে তারা পুলিশের ওপর  হামলা করে। এতে পুলিশের দুজন সদস্যও আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। ’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু জাফর ও রুখসানা বেগম বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন,‘আমরা বৃষ্টির পানির কারণে কয়েকদিন ধরে খুবই কষ্ট পাচ্ছি। বুধবার মেয়র সাহেবের নেতৃত্বে পৌরসভার কর্মচারীরা এলাকার পানি বের করে দিতে এলে  কিছু ছেলেরা তাদের ওপর হামলা করলে তারা চলে যান। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা,  আগস্ট ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।