ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো: এরফান উল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন করার অভিযোগ এনে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ -এর ৫ (২) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান সোমবার বিকেলে খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের নামে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অপর তিন আসামি হচ্ছেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীণ রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব ও বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার প্রায়ত স্বামীর নামে তৎকালীন বাসভবন ০৬ নং শহীদ মইনুল রোডের ঠিকানা ব্যবহার করে শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া নিজে এ ট্রাস্টের প্রথম ট্রাস্টি এবং তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে ট্রাস্টের সদস্য করা হয়।
২০০৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই ট্রাস্ট-এর নামে সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় শাখায় খোলা একাউন্ট নম্বরে ৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা জমা করা হয়। একই বছর এ একাউন্টে ১৮ জানুয়ারি এমডি জিয়াউল ইসলাম ২৭ লাখ টাকা জমা করেন।
এরপর ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি বিএনপির বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৯ টাকাসহ সর্বমোট ৭ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৯ টাকা ওই একাউন্টে জমা করা হয়।
কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ওই অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থের মধ্যে বিএনপির ফান্ড থেকে সংগ্রহ করা টাকা ছাড়া বাকি টাকার কোন বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়া তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে চ্যারিটি ট্রাস্ট গঠন করে তার নামে অর্থ সংগ্রহ করেন। কিন্তু সে অর্থ চ্যারিটির কোনো কাজে না লাগিয়ে তিনি ও তার দুই ছেলে সে টাকা নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১১