ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবি থেকে বঙ্গবন্ধুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১০
ঢাবি থেকে বঙ্গবন্ধুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

ঢাকা: দীর্ঘ ৬১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বৈঠক শুরুর আগেই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই আজ সম্মানিত হচ্ছে। ’

সিন্ডিকেটের সভার পর সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অন্যায় ছিল। শেখ মুজিবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বরখেলাপ করা হয়েছিলো বলেও মত দেন তিনি।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র, ন্যায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার পক্ষের আন্দোলন। তাই এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই আরও এক ধাপ এগোলো। ’

সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন করেছিলেন। তাই তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাও যোক্তিক। ’

এদিকে সিদ্ধান্তের পরপরই সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক সদরুল আমিন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে একটি অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অনেক আগেই তা প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। ’

১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ২৬ মার্চ সাময়িক বহিষ্কার করে। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ভবিষ্যতে ভাল আচরণ করবে এই মর্মে সংশ্লিষ প্রভোস্ট কাছ থেকে ফরম নিয়ে তাদের অভিভাবকদের নিশ্চয়তা পত্র দিলে ছাত্রত্ব ফিরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় অন্য চারজন এই শর্ত মেনে ছাত্রত্ব ফিরে পেলেও শেখ মুজিবুর রহমান শর্ত মেনে ছাত্রত্ব ফিরে নেননি। ১৮ এপ্রিল তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

সাময়িক বহিষ্কারাদেশ পাওয়া বাকি চারজন ছিলেন এমএ প্রথম পর্বের কল্যাণচন্দ্র দাসগুপ্ত, এলএলবি দ্বিতীয় বর্ষের নাঈমউদ্দিন আহমেদ, এমএ প্রথম পর্বের ছাত্রী নাদেরা বেগম ও বিএ প্রথম বর্ষের মুহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad