ঢাকা: রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম আহমেদ (৪০) শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ঠিকাদারী অথবা আসন্ন ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিম খুন হতে পারেন।
তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে আরও জানান, মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শুক্রবার বিকেল চারটায় তেজগাঁওয়ের মনিপুরী পাড়া এলাকায় তার সর্বশেষ অবস্থান জানা গেছে।
নিহতের ভাই মাসুম জানান, ইব্রাহিমের লাশ কালো একটি নোয়া গাড়িতে করে সাদা রং এর আরেকটি প্রাইভেটকারের পাহারায় কয়েকজন যুবক ঢাকা মেডিকেলে রেখে পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাথা ও চোয়ালে গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম আহমদেকে একদল যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র আরও জানায়, কয়েকজন যুবক নিহতের মৃতদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়।
রেজাউল করিম দাবি করে আরও বলেন, ‘তার থানা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। অন্য কোনো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ’
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, ইব্রাহিম ছিলেন দলের একজন একনিষ্ঠ ত্যাগী কর্মী। তবে নির্বাচন কেন্দ্রীক দলীয় কোন্দলের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
ইব্রাহিম আহমেদের বাবার নাম সালেহ আহমেদ। তার বাসা তোপখানা রোডের ২৭/১১/১-এ অ্যাম্বেসি ভবনের তৃতীয় তলায়। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার ভালাইকান্দি গ্রামে। তিনি এক কন্যা সন্তানের পিতা।
আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ইব্রাহিম। এ জন্য আগাম পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন ছড়িয়ে ওয়ার্ডবাসীর জনসমর্থন আদায়ে তিনি ব্যস্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০