ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জনসংখ্যা শুমারির জন্য ৩ লাখ ৩০ হাজার ডিজিটাল ম্যাপ

জসীম উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০
জনসংখ্যা শুমারির জন্য ৩ লাখ ৩০ হাজার ডিজিটাল ম্যাপ

ঢাকা: ২০১১ সালের মার্চে জাতীয় গৃহ-গণনা ও জনসংখ্যা শুমারি। এবারের আদমশুমারি অনেক বেশি প্রযুক্তিবান্ধব ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে।

এজন্য এরই মধ্যে সারাদেশকে তিন লাখ ৩০ হাজার ‘গননা এলাকায়’ ভাগ সেগুলোর ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

এছাড়া সংগৃহিত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে শুমারি প্রতিবেদন তৈরির জন্য আইসিআর (ইন্টেলেকচুয়্যাল ক্যারেক্টার রিডার) পদ্ধতি এবং অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা।

তিনি বলেন, ‘এসব ডিজিটাল ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এবারের শুমারি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও মানসম্পন্ন হবে। প্রতিবেদন প্রণয়নের সময়ও অর্ধেকে নেমে আসবে। ’

মোট জনসংখ্যা, নারী-পুরুষের সংখ্যাসহ কয়েকটি মৌলিক তথ্য সম্বলিত প্রাথমিক রিপোর্ট দুই মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।

এ শুমারি থেকে জনসংখ্যা সম্পর্কিত মোট ২৭টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ।

পরিসংখ্যান ব্যুরো মহাপরিচালক আরও জানান, মার্চের যে কোন পাঁচদিন সারাদেশে একযোগে এ শুমারি পরিচালিত হবে। এজন্য তিন লাখ ৩০ হাজার গননাকারিসহ প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনবল প্রস্তুত করছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশে যে চারটি শুমারি হয়েছে সেগুলোর একেকটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে চার বছরের বেশি সময় লেগেছিল। এবছর দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানান শাহজাহান আলী মোল্লা।

তিনি বলেন, জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) আকাশ থেকে তোলা ছবির ভিত্তিতে গণনা এলাকাগুলোর তিন লাখ ৩০ হাজার ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এসব ম্যাপ ধরে প্রতিটি এলাকায় শুমারি পরিচালিত হবে যাতে কোন বাড়ি বা কোন ব্যক্তি বাদ না পড়ে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, ইউএসএআইডি, ইউএন সেনসাস ডিভিশন, ইউএস সেনসাস ব্যুরো শুমারি পরিচালনায় বাংলাদেশকে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান দিচ্ছে।

শুমারির ফরমে পুরণ করা তথ্য চিহ্নিত করতে আইসিআর সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। আগে এ কাজে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) এবং ওসিআর (অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার) ব্যবহার করা হতো। এ দুই পদ্ধতির একটিতে ফরমের ভরাট করা বৃত্ত চিহ্নিত করা এবং অপরটিতে লেখা চিহ্নিত করা সম্ভব হতো। আইসিআর পদ্ধতিতে ভরাট করা বৃত্ত বা লেখা উভয় চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

দাতাদের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক স্ক্যান মেশিনের মাধ্যমে ঘন্টায় তথ্য ফরমের ১০ হাজার পাতা স্ক্যান করা সম্ভব হবে বলেও জানান পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক।

তিনি জানান, তথ্য সংগ্রহ শেষে তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা তাদের মত তথ্য যাচাই করবে।

তবে গৃহ-গণনা ও জনসংখ্যা শুমারি প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, তথ্য সংগ্রহ হবে হাতে কলবে।

একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বাস্তব কারণেই ল্যাপলপ ব্যবহার করে তথ্য ফরম পূরণ করা সম্ভব নয়। ’

তিনি বলেন, তিন লাখ ৩০ হাজার গণনাকারিদেরকে পাঁচ দিন সময়ে দেশের সব বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য ফরম পূরণ করে আনতে হবে। স্বল্প সময়ের জন্য এতগুলো ল্যাপটপ একসঙ্গে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৩০ঘন্টা, ১৩ জুলাই, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।