চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অনাবৃষ্টি ও সেচ সঙ্কটে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে আমনের তে। পানির অভাবে শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে রোপা আমন চারা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন মৌজায় বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে মাঠ, ফাটল ধরেছে রোপা আমন ক্ষেতে।
অনাবৃষ্টির কারণে সদর উপজেলার আবু বিশ্বাসের সাতবিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। ওই এলাকার বর্গাচাষী রফিকুল ইসলামের ১২ বিঘা জমির রোপা আমনেরও একই অবস্থা।
একই ইউনিয়নের কুচলাপাড়ার মফিজুল ইসলাম ১০ বিঘা ও মাকৈলের আনসার আলী সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। গভীর নলকূপের আওতায় হলেও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
তারা জানান, ‘এ সময় ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ প্রয়োজন, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা। ’
নাচোল উপজেলার চণ্ডীপুরে ১৫ বিঘা জমিতে আমনের আবাদকারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে ধান তে শুকিয়ে ফেটে গেছে। এখন শুধু বৃষ্টির প্রার্থনা করছি। ’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় ৫৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪৪ হাজার ৩০০ হেক্টরে। আবাদকৃত জমির মাত্র পাঁচ হাজার হেক্টর সেচের আওতাধীন বলে জানায় অধিদপ্তর।
ওই অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর জুন ও জুলাই মাসে ভালো বৃষ্টিপাত হলেও চলতি আগস্টে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২০ মি.মি.।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম জানান, ‘জেলায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে এর অর্ধেক। ’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহজাহান আলী চৌধুরী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আমন ধানের চারা শুকিয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১০