ঢাকা: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং এ জন্য কেনো পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কেনো দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, অ্যাডভোকেট সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দীকী এবং অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস।
মন্ত্রিপরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন, পরিকল্পনা, স্বরাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থাপন, সমাজ কল্যাণ, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, ধর্ম, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা সচিবগণ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদি করা হয়।
গত ১০ বছরে শহর এবং গ্রামে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য এবং পরিকল্পনা সচিবকে আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কর্মরত দেশি-বিদেশি এনজিওসমূহ কিভাবে এবং আজ পর্যন্ত কি কাজ করেছে সেটাও আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রিটের পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মোখছেদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ১২ আগস্ট, ২০১০