নোয়াখালী: চার বছরের শিশু অভিকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়েছিলেন তার মা রৌশনারা বেগম। একই বিছানায় ছিল ছোট বোন ফারহানাও।
মঙ্গলবার রাতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে দুষ্কৃতকারীদের ছোঁড়া এসিডে এভাবেই ঝলসে গেছে নোয়াখালী সদর উপজেলার মতিপুরে রৌশনারা,তার বোন ও সন্তান।
গুরুতর এসিডদগ্ধ অবস্থায় তাদের প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির জন্য পাঠানো হয় ফারহানাকে।
পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় একই এলাকার বখাটে কয়েকজন যুবকের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছেন।
এসিড আক্রান্ত রৌশনারার মামা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতালি-প্রবাসী সোহরাব হোসেনের মেয়ে স্থানীয় সাইদুল আবরার মহিলা আলিম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা আক্তার (১৪), বড় বোন রৌশনারা বেগম ও তার ৪ বছরের শিশুসন্তান লিয়ান বিন অভি মাঝরাতের দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় এসিডের শিকার হয়। এতে ফারহানার বাম চোখ ও মুখমণ্ডল, রৌশনারার মুখ ও শিশুঅভির মাথা ঝলসে যায়।
তিনি আরো জানান, একই গ্রামের সুনাম ও সজিব সহ শরিফ, রাজু ও বিহারী শরিফ মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে ফারহানা ও তার আরেক বোন ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সেলিনাকে উত্যক্ত করতো।
“এই এসিড নিক্ষেপের এ ঘটনায় ওরা জড়িত থাকতে পারে”, বলেন জাহাঙ্গীর।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে ফারহানা ও সেলিনার সহপাঠিরা সাইদুল আবরার মহিলা আলিম মাদ্রাসার সামনে বিক্ষোভে মিছিল ও মানববন্ধন করে। এছাড়া দোষীদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত কাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাজারী জানান, “ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রজ্জাককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তার তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১০
প্রতিনিধি/কেএল/জেএম