চট্টগ্রাম: আগামী অক্টোবরের মধ্যে চট্টগ্রামে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব চালু করতে প্রয়োজনীয় পদপে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। মঙ্গলবার দামপাড়া পুলিশ লাইনে প্রতিষ্ঠিত সিআইডির ফরেনসিক ভবনের (সম্প্রসারিত) নির্মাণ কাজ ও ল্যাবের অগ্রগ্রতি পরিদর্শনে গিয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ সময় সিআইডি কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন বলেও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান সিআইডি’র এএসপি মোহাম্মদ সারোয়ার।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি দাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার অপরাধ সংক্রান্ত উপকরণ এই ল্যাবে পরীা করা হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশ সংস্কার প্রকল্পের (পিআরপি) আওতায় স্থাপিত এই ফরেনসিক ল্যাবের অগ্রগতি দেখতে পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শকের নেতৃত্বে ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল সিআইডি কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রকল্প ম্যানেজার হেং ভ্যান জিল ও ভিক্টিম সার্পোর্ট স্পেশালিস্ট কুমার কৈরালা।
সিআইডির এ এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ফরেনসিক ল্যাব চালু হলে মামলার তদন্ত অনেক সহজ হবে। স্যা নির্ভর তদন্তের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক তদন্ত যুগের সূচনা হবে। ’
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের এই ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ। এরই মধ্যে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও চলে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে চারটি অত্যাধুৃনিক ক্রাইম সিন ভেহিক্যালসহ অপরাধীকে শনাক্ত করতে সংগৃহীত উপকরণ পরীক্ষার ব্যবস্থা ‘মাইক্রো অ্যানালাইসিস’ ‘ফুট প্রিন্ট’ ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ ‘ফটোগ্রাফী’ ‘হ্যান্ড রাইটিং’ ‘ব্যালেস্টিক অ্যানালাইসিস’ ‘কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস’ যন্ত্রপাতি।
সিআইডির কর্মকর্তাদের প্রশিণ কর্মসূচিও সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে টেকনেশিয়ান।
এছাড়া ফৌজদারি শাখা, কেমিক্যাল ল্যাব ও আইটি শাখা স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ সময় ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০