ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতু নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৭ সমীক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০
পদ্মা সেতু নিয়ে এ পর্যন্ত ৩৭ সমীক্ষা

ঢাকা: পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৩৭টি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেতু এলাকার মাটি, পানি, আশেপাশের পরিবেশ, যানবাহন চলাচল ও নৌ-চলাচলের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এসব  সমীক্ষা চালানো হয়।



মঙ্গলবার ঢাকার সড়ক ভবনের অডিটোরিয়ামে দু’দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্রিজ অ্যান্ড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং (আইবিএসই), জাপানের পুরকৌশলীদের সংগঠন ‘জাপান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স’র কমিটি অব স্টিল স্ট্রাকচার্স, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ।

পদ্মা সেতু নির্মাণ বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার এইসিওএম’র গবেষক ডব্লিউ কে হুইলার ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী মোহাম্মদ আর ইসলামের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, সেতু নির্মাণে স্থান বাছাই সংক্রান্ত সমীক্ষা প্রতিবেদনে মাওয়া-কাওড়াকান্দিতে সেতুর জন্য প্রস্তাবিত স্থান-সংলগ্ন এলাকায় ১৯৬৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নদীর গতিপথ পর্যালোচনা করা হয়।

কাজটি খুবই জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

৩৭টি সমীক্ষার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থানে জমি অধিগ্রহণ করা মানুষদের কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সে বিষয়েও সমীক্ষা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এশীয় অঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বন্ধুতা এবং সহযোগিতা বাড়াতে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ‘কনফারেন্স অন অ্যাডভান্সমেন্ট ইন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং-১’ আয়োজিত হয়। এ বছর ছিল এর দ্বিতীয় সম্মেলন।

দু’দিনের এ সম্মেলনে এশিয়ার ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনে ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে তারা সেতু সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।       

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্র“প অব আইবিএসই’র চেয়ারপারসন প্রকৌশলী এমএ সোবহান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্র“প অব আইবিএসই’র মহাসচিব ড. আফম সাইফুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. গোলাম মোস্তফা।

স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘সেতুর নকশা করা খুবই সৃজনশীল কাজ। এর ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ১০ আগস্ট ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।