ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ওএমএস’র প্রথম দিন: ভিড় নেই, চালও নেই

মসিউর আহমেদ মাসুম <br>স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০
ওএমএস’র প্রথম দিন: ভিড় নেই, চালও নেই

ঢাকা: সরকার পরিচালিত খোলা বাজারে চাল বিক্রির ওএমএস কার্যক্রমে প্রথম দিনে সাড়া মেলেনি। তবে ট্রাকের সামনে ভিড় দেখা না গেলেও চাল বিক্রি থেমে ছিল না।



সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা অনুপাতে যতটুকু চাল বিক্রির কথা, তার চেয়ে বেশি চালই বিক্রি হয়েছে। ফলে চাল বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

কর্মকর্তা ও ডিলাররা জানান, স্পটে ট্রাক দেরিতে আসাসহ বিভিন্ন কারণে ভিড় কম হয়েছে। অথচ ট্রাকে অবিক্রিত চালের পরিমাণ ছিল সামান্যই।

এক্ষেত্রে তালিকায় ক্রেতাদের চিহ্নিত করতে নাম ও স্বাক্ষর/টিপসই ছাড়া অন্য কোনো উপায় না থাকায় সহজেই একই ব্যক্তির একাধিকবার চাল নেওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে।

একইভাবে চাল না দিয়ে মনগড়া নাম বসিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকছে কর্মকর্তা ও ডিলারদের।

এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ডি-৮ এরিয়া রেশনিং কর্মকর্তা আলী হোসেন বাংলানিউটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘নাম আর টিপসই ছাড়া অন্যভাবে সনাক্তকরণের সময় কোথায়?’

নামের তালিকায় অস্বচ্ছতার সুযোগ রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক স্পটে ডিলারদের সঙ্গে সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক রয়েছেন। সুতরাং অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ’

অথচ দেখা গেছে, তালিকায় ক্রেতার নাম থাকলেও স্বাক্ষর বা টিপসইয়ের ঘর ফাঁকা।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মধুবাগ ঝিলপাড় এলাকার সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই স্বাক্ষর করতে জানে না। আর টিপসই দিতে বললে বলে সরকারি জিনিস নিব, টিপসই দেব কেন?’
 

ভিড় কম কেন, এর জবাবে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ প্রথম দিন। এখনও মানুষ এ কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু জানে না। তাই ভিড় কম। ’
 
একই কথা বলেন রামপুরা বাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ কাঁচাবাজার, বাংলামটর ও আজিমপুরে ওএমএস কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।

শান্তিনগর স্পটে চাল কিনতে আসা ছিবারণ বেগম বলেন, ‘টিভি দেখে জানতে পেরেছি। জিনিসপত্রের দাম বেশি। এখন চাল কম দামে পেলে কিছুটা বাঁচি।

তবে ছিবারণ জানলেও অনেকেই সরকারের এ কার্যক্রম সর্ম্পকে জানেন না। আগে থেকে এলাকায় মাইকিং করে জানালে ভালো হতো বলে মনে করছেন চাল কিনতে আসারা।

রামপুরা বাজারের স্পটে চাল কিনতে আসা তসলিমা বেগম বলেন, ‘আমি যে ছেলেটিকে নিয়ে এসেছি তার বাপ-মা কাজে চলে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। তাই বাসায় টাকাও রেখে যায়নি। এখন ওর জন্য টাকা ধার করে চাল নিচ্ছি। ’

রাজধানীর একশ’টি স্পটে রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। ২৪ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন একেক জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।