ঢাকা: ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের তিন ছাত্র ইব্রাহিম, পলাশ ও কান্তর নামাজে জানাযা ঢাকায় দারুস সালাম ফুরফুরা শরীফ জামে মসজিদে সোমবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের জানাযায় অংশ নেন স্থানীয় সাংসদ আসলামুল হক, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মকফুর হোসেন, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, সহপাঠী, কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
এদের মধ্যে কান্ত ও ইব্রাহিমের লাশ সোমবার রাতেই দারুস সালাম মাতব্বর বাড়ী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মকফুর হোসেন।
অপরদিকে রাতেই পলাশের মরদেহ গ্রামের বাড়ী মাদারীপুরের শিবচরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই সিরাজুল।
স্থানীয় সাংসদ আসলামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘ তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় দোষীদের বিচার করা হবে। ’
ওদিকে কলেজের সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিহত তিন ছাত্রের আরেকটি জানাযা সরকারি বাংলা কলেজে করার দাবি জানিয়েছেন।
ইব্রাহিমের সহপাঠী মাসুম বাংলানিউজকে জানান, ‘আমার বন্ধু ইব্রাহিম ডাকাত ছিল না। সে সরকারি বাংলা কলেজের ছাত্র ছিল। ওদের লাশ কলেজে নিয়ে আমরা এটা দেশবাসীর সামনে প্রমাণ করতে চাই। ’
সরকারি বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ মকফুর হোসেন বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমার ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে। আমি যতদূর জানি এ তিন ছাত্র ছিল নম্র ও ভদ্র । এরা ডাকাতির মতো কর্মকা-ে জড়িত থাকতে পারে না। ঘটনাটি মনে হচ্ছে একটি হত্যাকা-। ’
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের লাশ দারুস সালাম ফুরফুরা শরীফ জামে মসজিদে আনা হয়। এ সময় হাজার হাজার এলাকাবাসী লাশ দেখতে জড়ো হয়।
ইব্রাহিমের মা কাঁদতে কাঁদতে ছেলের লাশ দেখতে এলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তখন অনেক এলাকাবাসীও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকার তিন সন্তান হারিয়ে এলাকাবাসী শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ২০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১