ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রমজানের আগেই ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তবে বুধবার নয়

হাসান আজাদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০
রমজানের আগেই ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তবে বুধবার নয়

ঢাকা: আগামীকাল বুধবার জাতীয় গ্রিডে সাড়ে ৪ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের  ঘোষণা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রমজানের আগেই বৃহস্পতিবার এ বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।



রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ থাকা ৪টি কেন্দ্র থেকে নতুন উৎপাদনে সাড়ে ৩শ মেগাওয়াট এবং ভাড়াভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা আগামীকালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩‘শ থেকে ৪‘শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে পারবো। ’

তিনি বলেন, ‘ঘোড়াশালের ৩ নং ইউনিট, আশুগঞ্জ স্টিম ও বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বুধবার চালু হবে। এছাড়া ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে একশ মেগাওয়াট। ’

তবে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের  ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নং ইউনিটের আগামীকাল উৎপাদনে আসার কথা বলা হলেও তা  নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রায় প্রায় শেষ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যেতে পারবে।

গত ৩ আগষ্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনিটটি বন্ধ করা হয়।   ১৯৮৬ সা লে স্থাপিত এই ইউনিটটি চালু করার পর  এটি থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

একই অবস্থায় রয়েছে খুলনা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। ১৯৭৩ সালে স্থাপিত এই কেন্দ্রটি পুরানো হওয়ায় এখন এটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। গত মাসে এই কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এটিও বুধবারে উৎপাদনে আসতে পারবে কি না সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রটির একজন উর্ধতন কর্মকর্তা। কেন্দ্রটি চালু হলে এখান থেকে সব্বোর্চ্চ ৩২ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

আশুগুঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জিটি-১ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও বৃহস্পতিবারের আগে চালূ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। গত ২৯ জুলাই এই কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ করা হয়। চালু হওয়ার পর এই কেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ইউনিটের মধ্যে একটি চালুর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হলেও বৃহস্পতিবারের আগে সেটিও উৎপাদনে আসছে না। এ কেন্দ্রটিসহ থেকে পাওয়া যাবে সব্বোর্চ্চ ৯০ মেগাওয়াট।

তবে দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঘোড়াশাল ও খুলনা কেন্দ্র এরইমধ্যে পরীক্ষামুলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যে ঘোড়াশাল কেন্দ্র ৪৫ মেগাওয়াট ও খুলনা কেন্দ্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে ।

দুটি কেন্দ্রই রমজানের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিযে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে শুরু করবে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৭৫৯, আগষ্ট ১০, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।