ময়মনসিংহ: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনেও সঙ্গীত ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাস বর্জন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার সঙ্গীত বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা তা বর্জন করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো’য় প্রকাশিত রিপোর্টের ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় উপাচার্যের কাছে ফের স্মারকলিপি দিয়েছে।
তবে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ দাবি পূরণে আশ্বাস দেয়ায় বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা কাসে ফিরতে সম্মত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
স্মারকলিপির বিষয়ে উপাচার্য বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ৭ দিন যথেষ্ট সময় নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে অক্ষুণœ থাকে সেই লক্ষ্যে এ সময়ের মধ্যেই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনায় যারা উসকানি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাব। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে মঙ্গলবার আন্দোলনের তৃতীয় দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরুলিয়া মঞ্চে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। বিুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহলের উসকানিতে শিক্ষক-ছাত্রীদের জড়িয়ে গত শনিবার দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় রুচীহীন ও অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে প্রথম আলোর রিপোর্টটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। ছাত্রীদের বিবৃতি ছাড়াই চক্রান্তমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওই রিপোর্টটিতে তাদেরকে জড়ানো হয়েছে। ’
এতে আরো বলা হয়, ‘ওই রিপোর্টটি ২২ জুলাইয়ের রাতের ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহলের সু-গভীর চক্রান্তের অংশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১০-০৮-১০