ঢাকা: ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কারাগারে আটক ১৮৯ জন বাংলাদেশিকে কেন দেশে ফিরিয়ে আনা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দক্ষিণ এশিয়াসংক্রান্ত অণুবিভাগের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ দেন আদালত।
একইসঙ্গে ১৮৯ জনকে ফিরিয়ে আনতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিকে ‘আন্দামানে বন্দী ১৮৯ বাংলাদেশি ফিরিয়ে আনতে ধীরগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ মে হাইকোর্টের আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম জনস্বার্থে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আন্দামান কারাগারে রয়েছেন ১৮৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক। দীর্ঘদিনেও তাঁদের ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা না করায় স্বজনেরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ৫১৩ জন থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। সেখান থেকে আটক ব্যক্তিদের ইঞ্জিনবিহীন চারটি ট্রলারযোগে গভীর সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। গভীর সমুদ্রে খাদ্যের অভাবে ১০০ জন মারা যায়। বাকি ৪১৩ জন ট্রলারে ভাসতে ভাসতে ভারতের আন্দামান দ্বীপের কাছে চলে আসে। এ সময় আন্দামান নৌবাহিনী তাঁদের আটক করে কারাগারে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১