ঢাকা: ডিফেন্স টিমের যৌক্তিক দাবিগুলো অগ্রাহ্য হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার তামাশায় পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে সদ্য প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত বিধিমালা-২০১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিচার আমাদের কাছে কোনওভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের দেশের সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। ’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, মো. কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হচ্ছে।
তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন একটি ডিসেন্ট টিম।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিগত ১৬ মাসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ দাবিগুলো জানানো হচ্ছে।
ডিফেন্স টিমের দাবিগুলো হচ্ছে-
১. সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাতিল করতে হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধানটিকে বাতিল করতে হবে। যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের সংবিধান কর্তৃক সুনিশ্চিত মানবাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
২. ট্রাইব্যুনালে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত একটি ফোরামে আপিল করার সুযোগ রাখতে হবে।
৩. ট্রাইব্যুনালে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।
৪. ট্রাইব্যুনালের সম্পূর্ণ কার্যবিবরণী রেকর্ড করতে হবে।
৫. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে হবে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার তার ৩ জুলাইয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে ডমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল হিসেবে অভিহিত করেন। যা জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আহসানুল কবির, অ্যাডভোকেট ফরিদউদ্দিন খান, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আলামিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১