জামালপুর: শহরের রাণীগঞ্জ পতিতাপল্লী থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রী এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জামালপুর জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, মেয়েটিকে টানা একমাস আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতে নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছিল।
জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্র বাংলানিউজটোয়ন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, রংপুর জেলার উত্তম হাজিরহাটের বাসিন্দা ওই কিশোরী দেড় মাস আগে ঢাকার সাভারে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর মাসখানেক পরে আশুলিয়া বাজারে কেনা-কাটা করে ফেরার পথে রুকন ওরফে সোহাগ নামে পূর্বপরিচিত এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে জামালপুর নিয়ে আসে। এরপর তাকে রাণীগঞ্জ পতিতাপল্লীর সর্দারনী মুনুরীর কাছে বিক্রি করে দেয় সোহাগ।
সূত্র আরও জানায়, সর্দারনী মুনুরী প্রায় একমাস আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতে মেয়েটির ওপর নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। গোপন সূত্রে এ খবর জানতে পেরে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম রোববার সকালে একদল পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় সর্দারনী মুনুরী পালিয়ে যায়।
জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত সর্দারনী মুনুরী ও দালাল সোহাগকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পতিতাপল্লীতে নির্যাতনের ফলে সে মারাত্নক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১০