ঢাকা: গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। একই সঙ্গে এদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিতর্কিত’ পিসকোরকে কাজ করতে না দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা ধরনের নিরাপত্তার অজুহাত তুলে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বিস্তারের গভীর ষড়যন্ত্র। ’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহরও পাঠিয়েছিল দেশটি। ’
যারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মের বিরুদ্ধে ছিল তারা কীভাবে সেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিধানের সহযোগী হতে পারে এই প্রশ্ন তোলেন দুই নেতা।
যশোরের মনিরামপুরের বিমান ঘাঁটিতে বর্তমানে ‘এক্স পেক-অ্যাঞ্জেল ১০-৩’ যৌথ মহড়া চলছে। এর আগে গত ১৫ মে বাংলাদেশ-মার্কিন ‘টাইগার সার্ক-২’ নামের যৌথ মহড়া সিলেটে সম্পন্ন হয়েছে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তার নাম করে অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার-সার্ক’।
বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা অভিযোগ করেন, ‘শুধু বাংলাদেশ-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়াই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীও এ অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে সচেষ্ট। ’
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, গত মে’তে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ন্যাটো কাউন্সিলের সাবেক এক চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, ‘নতুন নতুন হুমকির উৎস এখন এশিয়া। একদিকে চীনের উত্থান, অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ বিষয়ে নজর দেবে ন্যাটো। ’
এছাড়াও দেশে আবারও ‘পিসকোর’ কর্মসূচি শুরু করার প্রচেষ্টায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, ষাট ও সত্তর দশক থেকেই এই সংগঠন সারা পৃথিবীতে কাজ করছে। সকলেই জানে এ সংগঠনটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাÑসিআইএ’র অর্থে পরিচালিত। পিসকোর’কে পুনরায় কাজ করতে না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশের সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১০
এসকে/এমএমকে/জেএম