ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন

প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১০

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচনকে প্রভাবিত করে পছন্দের প্রার্থীকে চেয়ারম্যান পদে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসকাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন ইসমত কাদীর গামা-মোঃ সালাহউদ্দিন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নূরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী।



সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম নির্বাচনকে প্রভাবিত করে হেলাল মুর্শেদকে চেয়ারম্যান পদে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তারা হেলাল মুর্শেদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।

নূরুজ্জামান ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, ‘সেনাবাহিনীতে সহকর্মী বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিভিন্ন জেলায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের হেলাল মুর্শেদ পরিষদে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি এ কাজে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ব্যবহার করছেন। ’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যের নাম বা কোনো দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ হেলাল মুর্শেদ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের সব মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভ্রান্ত করছেন। আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে মিছিল-সভা করছেন। ’

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় জাতীয় নির্বাচনের মতো এবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচনেও পছন্দের পরিষদের হাতে মতা তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে’।

এর আগে রোববার অধ্য আবদুল আহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পরিষদের প্রার্থী খান মোঃ বেলায়েত হোসেন, হারুনুর রশিদ ও আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হেলাল মুর্শেদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির সঙ্গে আলাপকালে চেয়ারম্যান পদে অন্যতম প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকায় বিভিন্ন প্রার্থী হেলাল মুর্শেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনো এ ব্যাপারে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারতো। ’ তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মুর্শেদ খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। প্রথমদিকে সংযোগ ব্যস্ত দেখালেও পরে আরো তিনবার সংযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কলগুলোতে সাড়া দেননি।

সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রতিমন্ত্রীকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।  

এদিকে, দু’টি প্যানেলই হেলাল মুর্শেদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিভিন্ন প্রমাণ নির্বাচন কমিশনে দাখিল করে তার পরিষদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানালেও কমিশন এখনও নীরব। এ প্রসঙ্গে জানতে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র শফিক আলম মেহেদীর মোবাইল ফোনে ৪/৫ বার কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নির্বাচন। এতে তিনটি প্যানেল ছাড়াও বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ছয়জন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১০
এসএফ/এজে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।