ঢাকা: দেড় বছর ধরে চলছে অ্যাডভোকেট সায়মা খানম হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক। ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছে এ যুক্তিতর্কের শুনানি।
অভিযোগপত্রের ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহনের পর গত বছরের ৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মঙ্গলবার এ যুক্তিতর্কের ওপর শুনানি শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ সরকারি কৌসুলি সৈয়দ শামসুল হক বাদল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিচারক না থাকায় এত সময় লেগেছে। আমি গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শেষ করি। তবে নতুন বিচারক আসায় আজ আবার রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্কের শুনানি করতে হয়েছে। ’
বিচারক দেওয়ান শফিউল্লাহ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য আগামি ২৭ জুন দিন ধার্য করেছেন।
মামলার একমাত্র চার্জশিটভুক্ত আসামি ফয়জুল ইসলাম শুরু থেকেই জেল হাজতে আছেন।
২০০৭ সালের ১৭ জুলাই ১৩৫/এ, এলিফ্যান্ট রোডের প্রিন্স টাওয়ারের বাসায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট সায়মা খানমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এদিনই নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কারও না থাকলেও মোবাইল কলের তালিকা ধরে গ্রেপ্তার করা হয় ফয়জুলকে। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
স্বীকারোক্তিতে ফয়জুল বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে সায়মার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সে সুবাদে ফয়জুলের গ্রামের ছেলে মজনু মিয়াকে গণপূর্ত বিভাগে এবং তার স্ত্রীর ভাই জাহাঙ্গীরকে এসআই পদে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সায়মা ফয়জুলের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়।
কিন্তু সায়মা তাদের চাকুরি না দিতে পারলে চাকুরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চায় ফয়জুল। সায়মা টাকা দিতে টালবাহানা করলে ফয়জুল ছুরি দিয়ে গলা কেটে সায়মাকে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১