ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জুলাই মাসেই তিস্তার পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি: পানি সম্পদ মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১

ঢাকা: পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, আগামী জুলাই মাসেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে সমতা বিধানেও সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।



মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে অচিরেই সমতা, ন্যায়নুগতা এবং কারও ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদন করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্য নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই দু’দেশের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সই হবে। ’

বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘সিডর ও আইলার মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হতে রক্ষা করতে উপকূল বাঁধ শক্তিশালীকরণসহ বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি ও নতুন বাঁধ নির্মাণের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্পে সমীক্ষাও চলছে। ’

তিনি বলেন, ‘১৮ মাস মেয়াদী এ সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনের পর প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শেষ করা সম্ভব হবে’।

হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করার লক্ষে রাজধানী ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষায় নদীর নাব্যতা ও দূষণরোধে শুষ্ক মৌমুমে প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য নিউ ধলেশ্বরী, পুংলী, বংশী, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর মোট ১৬২ কি. মি. দৈর্ঘ্য পুন:খননের মাধ্যমে যমুনা নদী থেকে পানি আনার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গত ৬ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ‘বুড়িগঙ্গা রিভার রেসট্রোশেন প্রজেক্ট’ শীর্ষক ৯৪৪ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত এ প্রকল্পটির মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছে জুলাই ২০১০ হতে জুন ২০১৪ পর্যন্ত।

তিনি আরও জানান, চলতি অর্থ-বছরে তুরাগ নদীর টঙ্গী খাল ডাইভারশন থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত মোট ২৩ কি. মি দৈর্ঘ্যে ডেজার দিয়ে নদী খনন কাজে কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ৩ কি. মি. দৈর্ঘ্য পুন:খনন কাজ চলছে।

মোশতাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘পাহাড়ী ঢলে নদী ভাঙ্গন রোধ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার জন্য ৬৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প গত ১২ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।