বেনাপোল: জ্বালানি তেলের অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে যশোরের নওয়াপাড়া ৪০ মেগাওয়াট খানজাহান আলী কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট।
ইতোমধ্যে ৫টি ইউনিটের ৪টিই বন্ধ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি অব্যাহত লোডশেডিঙের কারণে লোকসানের আশঙ্কায় অনেক ছোট শিল্প কারখানার মালিক তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন।
দেশের চলমান বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল¬ান্ট স্থাপনের আহ্বান করে। দরপত্র মোতাবেক ইউনিট পাওয়ার কোম্পানি গত বছর আগস্ট মাসে নওয়াপাড়ায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে খানজাহান আলী কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণকাজ শুরু করে। চলতি বছরের ১০ মে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। ১৩ মে উৎপাদনে যায়। কিন্তু উৎপাদনের শুরুতেই হোঁচট খায় এ পাওয়ার প্লান্ট।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের সঙ্কটের কারণে এ বিদ্যুৎ প্লান্টের ৫টি ইউনিটের ৪টিতে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে ১টি সচল রাখা হয়েছে। যদি আগামী ৩ দিনের মধ্যে জ্বালানি তেল না পাওয়া যায় তাহলে এটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে, ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নির্মিত খানজাহান আলী কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থানীয় ৩৩ কেভিএ লাইনে বর্তমানে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) লিয়াকত হোসেন জানান, যশোর শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিড থেকে এ চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ মেগাওয়াট। এ কারণে লোডশেডিঙের কবলে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে।
এছাড়াও নওয়াপাড়া তালতলায় ১০৪ মেগাওয়াট কোয়ান্টাম কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের নির্মাণকাজ শেষ করলেও জ্বালানি তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারছে না বলে জানায় সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১১