ঢাকা: টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল শুরুর অন্তত ১২ ঘণ্টা আগেই ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানীর রাস্তাঘাট। গণ-পরিবহন একেবারেই কমে যাওয়ায় বিভিন্ন কাজে রাস্তায় নামা মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
দুপুর ও বিকেলে দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর শহর জুড়েই তৈরি হয় আতঙ্ক। আপামর জনতা তড়িঘড়ি যে যার বাসায় ছুটতে থাকেন। কিন্তু আগুন আতঙ্কে বিভিন্ন রুটের ‘সার্ভিস’ বাসগুলো বিকেলের আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অসংখ্য মানুষকে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর মূলত সীমিত সংখ্যক সিএনজি, রিকসা ও মোটর সাইকেল ছিলো রাজধানীর রাস্তায়। বহু সময় পর পর দেখা মিলছিলো দু’একটি পাবলিক বাসের।
পল্টন, মতিঝিল, মগবাজার, মিরপুর ইত্যাদি এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে গাড়ির অপেক্ষায় উৎকণ্ঠিত সময় পার করতে দেখা যায়। বহু সময় পর পর আসা বাসে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন তারা। বাসে ওঠার হুড়োহুড়িতে অনেকেই আহত হন। জামা-প্যান্ট ছিঁড়ে যায় কারো কারো। কেউবা হারান পায়ের জুতা।
এদিকে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় যানবাহন সংখ্যা যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি উৎকণ্ঠা বাড়ছে রাস্তায় আটকে পড়া আমজনতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১১