ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ে হালদার সর্বনাশ হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১

চট্টগ্রাম: অপরিকল্পিতভাবে হালদা ড্রেজিং করা হলে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী  হুমকির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন হালদা নদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি হালদা নদীসহ দেশের  সব নদী ও পরিবশে রক্ষায় সবার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হবে বলে মতামত দিয়েছেন তারা।

 

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস আয়োজিত ‘হালদা নদীর পানীয় জল: নাগরিক চাহিদা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এ কথা বলেন।

কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী। সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।

মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতির দূষণ থেকে নিজেদের রক্ষা করা না গেলে পরিবেশ দূষণ থেকে কখনো দেশকে মুক্ত করা যাবে না। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কমকর্তাদের দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে হবে।   না হলে দেশের পরিবেশ কখনো দূষণ থেকে মুক্ত হবে না। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটনের প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট অভিযানে পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরিবর্তে জরিমানা করার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সুফল বেশি পাওয়া যায়। কারণ মামলা করলে অভিযুক্তরা জামিনে এসে আবারো দূষণ চালাতে থাকে। ’

হালদা ও কর্ণফুলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই দুই নদী দেশের অন্যান্য দূষিত নদীগুলোর তুলনায় ভাল অবস্থানে রয়েছে এবং এখানে যে জনমত আছে তা সোচ্চার থাকলে নদী দু’টি মরবে না। এছাড়া শিগগিরই নদীকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। ’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা দেশের অন্যান্য  নদী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। হালদার অংশবিশেষে কোনো প্রকল্প না নিয়ে পুরো হালদাকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া তা রক্ষা করা যাবে না। ’

তিনি আরো বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা না করে যারা এ বিষয়ে কিছু জানে না তাদের হালদা পুনরুদ্ধার প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়ায় গৃহীত প্রকল্পের সুফল মিলছে না।   ইতিপূর্বে হালদার বাক কেটে চট্টগ্রামের নিরাপদ পানি ও মাছের অভায়াশ্রম হালদার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।   ড্রেজিং করা হলেও ক্ষতির মাত্রা আরো বাড়বে। ’  

সেমিনারে আরো বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রউফ, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, মহসিন চৌধুরী ও কামাল পারভেজ।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।