ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রামে শিক্ষিত যুবকরা জড়িয়ে পড়েছে মোটরসাইকেল চুরিতে, গ্রেপ্তার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১

চট্টগ্রাম: নেশা‘র টাকা জোগাড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে শিক্ষিত যুবকরা জড়িয়ে পড়েছে মোটরসাইকেল চুরিতে। নগরীর দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উচ্চশিক্ষিত দুই যুবক সাজিদুল হক কাওছার (৩০) ও  তার সহযোগী মোমিন উদ্দিন খালেদ ওরফে  রাজু (২৯) গত ৬ মাসে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে।



গত ৭ জুন মঙ্গ্লবার রাতে একটি সংবাদ সংস্থার চট্টগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার মিন্টু চৌধুরীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরির পর আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।

সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেমে’র নির্দেশে কোতয়ালী থানা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের এ্কটি টিম গত দুই দিনে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর দলের সর্দার কাওছারসহ চার চোরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা তিনটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করে পুলিশ। বাকী ২জন হলেন চোরাই মটরসাইকেল ক্রেতা মোঃ রমজান আলী (১৯) ও মোঃ সুজন আলী (২২)।

গত কয়েকমাসে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৭জন সাংবাদিকসহ দেড় শতাধিক লোকের মোটরসাইকেল চুরির পর পুলিশ এই বিশেষ অভিযান চালায়।  

অভিযানে অংশহগ্রহনকারী ডিবির উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন জানান, সাজিদুল কাওছার চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হইতে এম এ (১ম পর্ব) শেষ করে স্টেক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ পদে আর সহযোগী খালেদ ওরফে রাজু সরকারি সিটি কলেজ থেকে বিকম পাশ করে এনায়েত বাজারের  রংধনু এন্টারপ্রাইজে চাকরি করে বলে জানিয়েছে। ফেন্সিডিলের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে এই দুই যুবক মটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িয়ে পড়ে । একেকটি মোটরসাইকেল চুরি করে তারা তাদের সংঘবদ্ধ দলের কাছে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

এসআই মহসিন আরও জানান, মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা যেকোন মটর সাইকেলে’র লক খুলে চুরি করে পািলয়ে যায়।

শুক্রবার দুুপুরে কোতয়ালী থানা কায্র্লায়ে গ্রেপ্তার প্রধান দুই চোর রাজু ও কাওছার সাংবাদিকদের কাছে চুরির কৌশল অভিনয় করে দেখায়। সাংবাদিকের তারা জানায়, মোটরসাইকেল চুরি করতে তারা মোটরসাইকেলে নগরীতে ঘুরে বেড়ায় এবং বিভিণœ মটরসাইকেল আরোহীকে অনুসরণ করে। মোটরসাইকেল থেকে নামার পর তাদের একজন ওই আরোহীর পিছু নেয় আর অপরজন রাস্তায় বা  পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেলে উপর বসে পেপার পড়ার ভান করে তাদের কাছে থাকা বিশেষ চাবি দিয়ে সেটি‘র লক খোলার চেষ্টা করে। লক খোলা সম্ভব হলে  সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর অপর সহযোগী এসে তার মোটরসাইকেল চড়ে পালিয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  চুরির আগে তারা সুযোগমতো ওই মোটর সাইকেলটির লক পরখ করে দেখে বলে জানায়।

চট্টগ্রাম শহরে সন্দীপ ও ফটিকছড়ি এলাকার আরও দুইটি গ্রুপ মোটর সাইকেল চুরির কাজে তৎপর বলে তারা জািনয়েছে। ্

পুলিশ জানায় গত বুধবার নগরীর খুলশী থানাধীন আমবাগান এলাকা হইতে প্রথমে মোটরসাইকেল চোর দলের অন্যতম সর্দার  কাওছার  ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ্সময় তাদের কাছ থেকে  বিশেষ কৌশল তৈরি বিভিন্ন ধরনের মটর সাইকেল চুরির নয়টি  চাবি,  অনটেস্ট লেখা দুটি স্টিকার  ও নাম্বার প্লেইট ঢেকে রাখতে  কাগজ দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি বোর্ড জব্ধ করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে তাদের সহযোগী সুজন ও রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পাঁচলাইশের আতুরার ডিপো এলাকার তাদের পলাতক সহযোগী শাকিলের বাড়ির সীমানা দেয়ালের ভেতর থেকে সাংবাদিক মিন্টুর চুরি যাওয়া মটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। অপর দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় কাওছার ও রাজুর বাসা থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১৭৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।