চট্টগ্রাম: গর্ভের সম্ভাব্য সন্তানের ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলায় স্বামী হত্যার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায়। স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি একযোগে এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে পুলিশের কাছে আসামীরা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী লিপি আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জাহাঙ্গীর আলমকে খুন করেছে বলে আসামীরা স্বীকার করেছে। এ মুহূর্তে তারা তিনদিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি রাতে ফিশিং কোম্পানিতে কর্মরত জাহাঙ্গীরকে খোয়াজনগরের ভাড়াবাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে খাটের নিচে লাশ রেখে দরজায় তালা মেরে পালিয়ে যায় লিপি আক্তার ও তার মা আফরোজা বেগম।
গত ৮ জুন বুধবার নিহত জাহাঙ্গীরের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে লিপির ভাই শাহ আলম মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে থানায় যায়। এসময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লিপি ও তার মা আফরোজা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বাংলানিউজের কাছে গ্রেপ্তারের জানান, আফরোজা বেগমকে বায়েজীদ বোস্তামী থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকায় এবং নিহত ব্যক্তির স্ত্রী লিপিকে নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার গ্রেপ্তার করা হয়।
গর্ভের তিন মাসের ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলায় লিপি তার মাকে নিয়ে পরিকিল্পতভাবে স্বামীকে হত্যা করছে বলে পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে।
তবে ওসি আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ দিন পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মা ও মেয়ে মিলে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১