বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক দুই দিনের ব্যবধানে ৩ অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম সীমান্তে অস্ত্রের মুখে দুই ভাইকে অপহরণের ২ দিনের ব্যবধানে এবার প্রেসক্লাবের সভাপতির মালিকানাধীন রাবার বাগান থেকে অপহরণ করা হয়েছে এক কর্মচারীকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম খালছড়াপাড়া এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আরকান (ডিপিএ)-এর সদস্যরা অস্ত্রের মুখে খালছড়া পাড়ার কার্বারী (পাড়া প্রধান) হ্লা থুইউ মারমা (৫১) এবং তার ব্যবসায়ী ছোটভাই মুইবাই অং মারমাকে (৩৯) অপহরণ করে। অপহরণকারীরা দুইভাইকে অপহরণের পর বড় ভাই হ্লা থুইউ মারমা কার্বারীকে ছেড়ে দিলেও ছোটভাইকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহরণকারীরা তাদের অপহরণ করে। অপহরণের পর ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ডিপিএ। মুইবাই অং মারমাকে জীবিত রাখা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কোনো খবর জানা নেই পরিবার ও পুলিশের।
বান্দরবানের রুমা থানার এএসআই মো. জসিম অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি জেলার রুমা থানার সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে অভিযান চালানো যাচ্ছেনা। ‘
আর এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৯ জুন রাতে সদর উপজেলার বালাঘাটার ডাকবাংলো এলাকা থেকে বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীরের রাবার বাগানের কেয়ারটেকার মো. মাহমুদুল হককে (৩২) অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহরণের সঙ্গে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে দাবি স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে সদর থানার ডিউটি অফিসার এসআই নূরুন্নবী জানান, এ অপহরণের বিষয়ে তারা অবগত। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা অপহৃতকে উদ্ধার অভিযানে নামবেন।
বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বর্তমানে চীন সফরে থাকার কারণে থানায় এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রাবার বাগানকে কেন্দ্র করে চাঁদার দাবিতে একাধিকবার চিঠি দিচ্ছিল বলে বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাব সভাপতি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১