ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএমই বান্ধব নীতি ও কর্মসূচী গ্রহণে শিল্পমন্ত্রীর আহবান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১০

ঢাকা : দেশের ক্ষূদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি ও কর্মসূচী গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়–য়া।

আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত ‘এসএমই ঋণ বিতরণ নীতিমালা ও এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।


 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বড় উদ্যোক্তা বা বড় অঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ বিতরণে উদগ্রীব থাকে। আর এটা করতে গিয়ে ব্যাংকিং খাতের বহু ঋণ তামাদি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সনাতনী মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট শিল্প উৎপাদনের ৪০ ভাগ আসে এসএমই খাত থেকে। পাশাপাশি দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৮০ ভাগ এবং মোট শ্রমশক্তির ২৫ ভাগ এই খাতে নিয়োজিত। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে শক্তিশালী এসএমই খাত গড়ে তুলতে এই খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। খেলাপি ঋণের চক্রবৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোকে অধিকহারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। ফলে সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে, যা উদ্যোক্তাদের ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দেয়।

‘ক্ষূদ্র ঋণ বিতরণে ঝুঁকি বেশি’ উল্লেখ করে তিনি ‘থোক উন্নয়ন নীতিমালা’ (কাস্টার ডেভেলেপমেন্ট পলিসি) প্রণয়ন ও ‘ঝুঁকি মোকাবেলা তহবিল’ গঠনের জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এসএমই ঋণের প্রসার ঘটানোর জন্যও ব্যাংকগুলোর প্রতি আহবান জানান গভর্নর।    

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘এসএমই সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম্স বিভাগ’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এসএমই ঋণ বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯৮৪০ ঘন্টা ; ১৪ জুন, ২০১০
এসআর/এএইচএস     

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।