ঢাকা : রাসায়নিকের গুদামে রক্ষিত দাহ্য পদার্থের কারণেই পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরী আজ দুপুরে তার কার্যালয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে একথা বলেন।
বিকেলে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদারের কাছে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
সচিব ইকবাল খান চৌধুরী বলেন, যে ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত ওই ভবনের নীচতলায় কনা কর্পোরেশনের একটি গুদামে ৫০ টন দাহ্য জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ ছিল।
তিনি বলেন, গুদামে রক্ষিত দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যে ভবন থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ওই ভবনের গ্যাসের পাইপেও ছিদ্র ছিল। ফলে নিচতলা থেকে আগুন মুহুর্তেই ভবনের চারতলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, গুদামে ডাই-কেমিক্যাল পার অক্সাইড, কার্বন ব্ল্যাক, রাবার বেল্ট, পেন্টা মিথাইলিন এবং টেট্রামাইন ভেইজ জাতীয় মোট ৫০ টন দাহ্য পদার্থ ছিল।
কনা কর্পোরেশনের কোনো ব্যবসায়িক সনদপত্র বা ট্রেড লাইসেন্সও নেই বলে জানান তিনি।
গুদামের মালিক ওয়াহিদ উল্লাহ মজুমদার এখনো পলাতক।
সচিব ইকবাল খান চৌধুরী আগুনের মূল উৎস সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়নি।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১০
জেআইএল/এএইচএস/জেএম