ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছাত্র-সেনা সংঘর্ষ: উপ-কমিটির বৈঠক চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১১

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭ সালে ছাত্র-সেনা সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ নং উপ-কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে।

রোববারের এ বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদকে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু তারা হাজির হননি।

বৈঠকে কমিটির সদস্য ছাড়াও উপস্থিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আআমস আরেফিন সিদ্দিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর সাইদুর রহমান খান, ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন কর্নেল শামস ও প্রফেসর মলয় ভৌমিক।

বৈঠকের পর উপকমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান মেনন সংবাদ সম্মেলন করবেন।

এদিকে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার পর ছাত্র নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।

সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো এক ই-বার্তায় তিনি এ দাবি করেন।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে সংসদীয় কমিটির কাছে এ ই-বার্তা পাঠিয়েছেন ড. ফখরুদ্দীন। সংসদ সচিবালয়ের কমিটি শাখা-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শাহ মাহমুদ সিদ্দিকীর ই-মেইল অ্যাকাউন্টে তিনি এ বার্তা পাঠান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের একান্ত সচিব নাইমুল আজম খান বাংলানিউজকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ওই ই-বার্তায় ড. ফখরুদ্দীন বলেছেন, ‘বিক্ষোভের পর ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ঘটনার পর গ্রেপ্তার, মামলা ও বিচারের বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ বিচার বিভাগের। ’

বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় তৎকালীন সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করেনি বলেও বার্তায় দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পর বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। আমি যে কোনও ধরনের নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার পক্ষে। ’

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৫ নং উপ-কমিটির চতুর্থ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে খেলার মাঠের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও সেনা সদস্যের মধ্যে সহিংস ঘটনা তদন্তে ড. ফখরুদ্দীন এবং মঈন উ আহমেদকে তলবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৮ এপ্রিল উপ-কমিটির ৫ম বৈঠকে তাদের হাজির হতে বলা হলেও দু’জনই কমিটিতে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেদিনই তাদের দ্বিতীয় দফা হাজির হতে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৮ এপ্রিলের বৈঠকে আগে এ দু’জনই কমিটির কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান। সে সময় তাদের এ বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দেয় সংসদীয় কমিটি।

জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ দু’জন হাজির হতে না পারলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে সংসদীয় কমিটি।

এ ব্যাপারে রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।

সংসদ সচিবালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, স্পিকার ভিডিও কনফারেন্সের ব্যাপারে তার সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন।

গত বছরের ১৯ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের এ সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হুইপ মির্জা আজম, বীরেন শিকদার ও শাহ আলম।

কমিটি এরই মধ্যে ওই সংঘর্ষের পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের বক্তব্য নিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনায় ফখরুদ্দীন ও মঈনের বিচার দাবি করেছিলেন।


এদিকে জেনারেল মঈনের পক্ষ থেকে এখনও এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়নি।

এর আগে মঈনের পরিবার থেকে রাশেদ খান মেননকে জানানো হয় অসুস্থার কারণে সাবেক এ সেনাপ্রধান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।