ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার সময় ২ মাস বাড়লো

আদালত প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১০

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন এ সময় মঞ্জুর করেন।



মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আকন্দ চার মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সময় বাড়ানো হলো।

রাষ্ট্রপরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আকরাম উদ্দীন শ্যামল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, এর আগে গত ৩ অক্টোবর, ৩ জানুয়ারি, ৩ এপ্রিল ও ৩ জুন সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহ্হার আকন্দ তদন্তের সময় বাড়ানোর আবেদনে বলেন, এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, পাকিস্তানি নাগরিক আব্দুল মজিদ বাট ও আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ ও সরবরাহের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ মামলায় দু’জন গুরুত্বপূর্ণ সাীর স্যা রেকর্ড করা হয়েছে। আব্দুল মজিদ বাট গ্রেনেডের উৎস সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাীদের তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।

২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর মুফতি হান্নানসহ ২২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় ৬১ জনের সাী নেওয়ার পর মামলাটিতে পুনরায় তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপ।
 
গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মাসদার হোসেন রাষ্ট্রপরে দাখিল করা আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আদালত দুই মাসের মধ্যে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি দ্রুত বিচার আইনের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় মামলাটি ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
 
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১০
এমআই/ জেডএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।