ঢাকা: বিজিএমইএ নেতারা বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গ্যাসের অপর্যাপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রোববার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা এ ক্ষোভ জানান। নেতারা এ সময় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়া, আয় কমে যাওয়া, ব্যাংকের অতিরিক্ত ঋণ ও দায় বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তৈরি পোশাক শিল্পের অস্তিত্ব হুমকির মুখে বলে উল্লেখ করেন। ।
উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিজিএমইএ নেতাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, আমার মনে হয় না তৈরি পোশাক শিল্প হুমকির মুখে বা অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে।
এ সময় বিজিএমইএ’র এক নেতা বলেন, আমরা কষ্টে আছি। উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা কষ্টে আছেন তা মানি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সময় গামের্ন্টে কর্মরত শ্রমিকদের কম মূল্যে চাল দেওয়া, অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় ঘোষিত প্রণোদনা, বাড়িভাড়ার ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন বিজিএমইএ নেতাদের।
নেতারা গ্যাসের বর্তমান বেহাল দশার জন্য পেট্রোবাংলার উদাসীনতাকে দায়ী করেন। সেই সঙ্গে বাপেক্সসহ অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ আনেন। গ্যাস সমস্যার আশু সমাধানে তারা কম্প্রেসার স্থাপনের দাবি জানান। সরকার যদি এই কাজ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে বিজিএমইএকে কম্প্রেসার স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়ার আহবান জাানান।
দেশিয় শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ স্থগিত রাখারও দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের দাবি দাওয়াসমূহ বিবেচনায় না আনলে চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিযোগীদের সঙ্গে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। এরই মধ্যে এসব দেশ বাংলাদেশের অনেক অর্ডার নিয়ে গেছে।
বিজিএমই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য পরিকল্পিত বিশেষ শিল্পজোন স্থাপন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানব সম্পদ উন্নয়নে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করার দাবি জানান। বিজিএমইএ’র অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘন্টা, মে ২৯, ২০১১