ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলার শিখা ১১ দিন ধরে ডুবোচরে আটকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১১

চট্টগ্রাম: সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের অদূরে গভীর সমুদ্রে ডুবোচরে আটকা পড়ে আছে বাংলার শিখা। আটকা পড়ার ১১ দিন পার হলেও  বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি)  কার্গো জাহাজ বাংলার শিখা উদ্ধার করা যায়নি।



সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজটিতে বোঝাইকৃত গমও খালাস করা যাচ্ছেনা। এদিকে জাহাজটি’র ব্রিটিশ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মেরিটের প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাকবলিত বাংলার শিখার সর্বশেষ অবস্থার ব্যাপারে সার্ভে করতে সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রামে  এসেছেন।

এ প্রসঙ্গে বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সিদ্ধান্ত  নেবে জাহাজ কিভাবে উদ্ধার করা হবে, তা না হলে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে। জাহাজটি উদ্ধারে বিলম্ব হওয়ায় পরবর্তীতে বেগ পেতে হবেও বলে স্বীকার করেছেন বিএসসি’র এমডি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে হিরণ পয়েন্টের কাছে ১১ নম্বর বয়ার কাছে সাড়ে ৭ হাজার টন সরকারি গম নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠানের এ জাহাজটি।

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে কোরিয়ান পতাকাবাহী মাদার ভেসেল গেট প্রেক্সি থেকে গম খালাস করে মংলা বন্দরে যাওয়ার পথে এটি র্দুঘটনায় পড়ে।    

বিএসসি’র মিডিয়া উইং বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন,  জাহাজটি কিভাবে উদ্ধার করা যাবে, উদ্ধার করতে কি পরিমান অর্থ ব্যয় হবে ইতোমধ্যে  এসব বিষয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানি সার্ভে করেছে ।
তিনি আরো বলেন,  র্দুঘটনার পড়ার পর প্রান্তিক শিপিং নামে একটি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান জাহাজটি টাগবোট দিয়ে টেনে আনার চেষ্টা  করেও ব্যর্থ হয় ।

গম বোঝাইয়ের কারণে  জাহাজটি ভারী হয়ে থাকায় টেনে আনা সম্ভব না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ (উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান, পণ্যের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এবং  বীমা কোম্পানির প্রতিনিধির) বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় জাহাজটির গম খালাস করে তারপর টাগ বোট দিয়ে টেনে আনা হবে।

কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় সেখানে গম খালাস করার জন্য লাইটারেজ জাহাজ যেতে পারছেনা।  
তবে এই মুহূর্তে জাহাজটি নিয়ে কোন ঝুঁকি নেই বলে তিনি দাবি করে বলেন, নাবিকরা সবাই ভালো আছেন। জাহাজে এখনো ১০ দিনের খাবার মজুদ আছে।

বিএসসি’র কর্মকর্তারা জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে গম লাইটারেজ করে (খালাস করে)  মংলা বন্দরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মংলা বন্দরে চ্যানেল সরু হয়ে যাওয়ায় এবং পথ নির্দেশক কোন বয়া না থাকায় আন্দাজে জাহাজ চালানোর কারণে বাংলার শিখা জাহাজটি চরে আটকা পড়ে।
জাহাজটিতে চিফ অফিসারসহ ২১ জনের মতো নাবিক রয়েছেন ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘন্টা, মে ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।