ঢাকা: জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক তানভীর হায়দার মুন্না রোববার নিজ বাসভবনে অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন।
নিহতের বাসা রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৯/৩ কদমতলী।
পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, ২৯ বছর বয়স্ক মুন্না বাথরুমের ভিতরে ঢুকে গলায় জুতার ফিতা বেঁধে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক। কারণ ঘরের মেঝেতে শুইয়ে রাখা অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আহমেদ জানান, মুন্না এদিন সকাল পোনে ৮ টায় ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে ঢুকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় তার স্ত্রী ও ভাই বোনেরা দরজা ভেঙে বাথরুমের ভিতরে মুন্নাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তবে পরিবারের দাবি অনুযায়ী জুতার ফিতা দিয়ে ফাঁস দেওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন কামাল।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, মুন্নার ভাই ফয়সাল আহমেদ জানান, কর্মস্থলে এক কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্নার কিছুদিন ধরে খুবই খারাপ সম্পর্ক চলছিল। সকালে মুন্নার সঙ্গে ওই কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। তিনি মুন্নাকে গালাগালি করেন এবং হুমকি দেন।
এরপরই মুন্না বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করেন বলে ফয়সালের দাবি।
মৃত আজাহার আলীর ছেলে মুন্না ছিলেন তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।
নয় বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রীর নাম রূপা আক্তার। দেড় বছর বয়সী অপূর্ব নামে তার একটি ছেলে আছে।
নিহতের পরিবার আরও জানায়, বেশ কিছু দিন আগে ছয় বছর বয়সী হিমেল নামে তার একটি কন্যাসন্তান মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন মুন্না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১০