ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নাখালপাড়ায় ভবন ধস

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৭ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১১
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৭ মামলা

ঢাকা: রাজধানীর নাখালপাড়ায় প্রস্তাবিত ইমপালস হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে শনিবারের দুর্ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিকরা রোববার পৃথক ছয়টি এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (রাজউক) শনিবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতাল নির্মাণে বিল্ডিংকোড না মানার অপরাধে রাজউকের মহাখালী জোনাল অথরাইজড অফিসার শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জাহির আল আমিনসহ দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।

এরপর নির্মাণাধীন হাসপাতালের আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিক হারুনুর রশিদ, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ (১), সাখাওয়াত হোসেন, আবুল কালাম আজাদ (২) ও আলমগীর শেখ বাদী হয়ে পৃথক পৃথক আরো ৬ টি মামলা দায়ের করেন।

ওসি জানান, এসব মামলায় হাসপাতালের নির্মাণ ত্রুটিজনিত  দুর্ঘটনায় মোট ১২ কোটি ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

এসব মামলা ও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক খালেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সবাই মিলে সমাধান করা হবে।

এদিকে রোববার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ শওকত হোসেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্মাণকাজে বিল্ডিংকোড না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

এসময় রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা তাঁর সাথে ছিলেন।

অপরদিকে আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো রক্ষার জন্য পাইলিং করা স্থানে সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্র্রাকশন ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।

ওই ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল এম এ মোহি সাংবাদিকদের জানান, পুরো স্থানটি ভরাট করতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ দিন। আর মাটি লাগবে ১০ লক্ষ সিএফটি।

তিনি জানান, দুটি পাঁচতলা ভবনসহ উত্তরপাশের ভবনগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আগে সেদিকে মাটি ফেলা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হাতিরঝিল প্রকল্পের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

আশপাশের ভবনগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় নিয়ে তারপর সেনাবাহিনী দায়িত্ব শেষ করবে বলে জানান তিনি।

এদিকে শনিবারের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ওই এলাকায় মানববন্ধন করেছে ইনসাফ নামের একটি বেসরকারী সংগঠন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার নাখালপাড়ার সমিতির বাজার এলাকায় প্রস্তাবিত ইমপালস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিং ত্রুটির কারণে ওই এলাকার একটি রাস্তা দেবে যায়। এতে দুটি একতলা বাড়ি সম্পূর্ণ গুড়িয়ে যায়।

এছাড়া অপর একটি একতলা বাড়ির একাংশ ভাঙ্গা ছাড়াও ওই নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য নির্মিত ঘরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনায় চারজন শ্রমিক আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad