ঢাকা: ফেতরা পদ্ধতি বহাল না থাকলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ বছর হজ মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বে।
একই কারণে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (হাব) হারাম শরিফের কাছে বাড়ি ভাড়া করতে পারবে না।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাবের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও সচিব উপস্থিত থাকবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, ফেতরা পদ্ধতি চালু না হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজের শুরুতে যাত্রী পাবে না। যা এয়ারলাইন্সের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে।
অন্যদিকে হাব সূত্রে জানা গেছে, ফেতরা পদ্ধতি না থাকলে সৌদি সরকার হারাম শরীফের কাছাকাছি কোনো বাড়ি ভাড়া নিতে দেবে না। এতে দূরে বাড়ি ভাড়া নিতে হবে। যা হাজিদের বেকায়দায় ফেলবে ও দুর্ভোগ বাড়াবে। এছাড়া ফেতরা পদ্ধতি না থাকলে বাড়ি পরিবর্তন করা যায় না।
হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, ফেতরা না থাকলে হজের প্যাকেজ ৪২-৪৫ দিনের হয়ে যাবে। বাড়তি ১৫/২০ দিন সৌদি আরবে থাকতে গিয়ে হাজিদের খরচ যেমন বেশি পড়বে তেমনি হজ এজেন্সির মালিকদেরও লোকসান গুনতে হবে।
হাবের সভাপতি আরও জানান, যে শর্তই দেওয়া হোক তারা মেনে নিতে রাজি আছেন। তবে ফেতরা পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। তিনি বলেন, কেবিনেট সভায় হয়ত বিষয়টি সঠিকভাবে উত্থাপিত না হওয়ায় ফেতরা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি বছরের হজ নীতিতে ফেতরা পদ্ধতি বাতিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮মে মন্ত্রণালয়ে এক সভায় হাব এর তীব্র বিরোধিতা করে।
আগামী ১০ অক্টোবর থেকে হজ ফাইট শুরু হচ্ছে। ১২ নভেম্বর হজ ফাইট শেষ হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৫ হাজার বাংলাদেশি হজ পালন করবেন।
বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম ফেতরা বিষয়ে বলেন, এটি মন্ত্রণালয় ও হাবের বিষয়। তাই এটা নিয়ে বিমানের কথা বলা ঠিক হবে না। তবে বিমানের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি যাতে এড়ানো যায় তারা সে চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ সময়:১২১১ঘণ্টা, আগস্ট ১,২০১০