ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২০ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

চট্টগ্রামে ভাড়া নিয়ে হাতাহাতি, গাড়ি চলাচল ব্যাহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণপরিবহনে নতুন নির্ধারিত ভাড়া আদায় নিয়ে আজ শনিবারও নগরীর বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের হাতাহাতি এবং বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে নগরীর ৪ নম্বর ( নিউমার্কেট থেকে কালুরঘাট) এবং ৭ নম্বর রুটে ( কর্নেলহাট থেকে নিউমার্কেট)  দুপুরে প্রায় এক ঘন্টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখে বাস চালকরা।



এদিকে বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে নগরীর ২৫ টি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন সিএমপি। এছাড়া পরিবহন মালিক সমিতি ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নিজস্ব লোক মোতায়েন করেছে।

এ প্রসঙ্গে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ‘ভাড়া আদায় নিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও সংঘাত ঠেকাতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি মোড়ে ৪ জন করে মোট ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগের ভ্রাম্যমান দলগুলোর পাশপাশি এই ব্যাপারে নগরীর ১২টি থানার পুলিশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পরিবহন শ্রমিক ও  মালিকদের বলেছি, যাত্রীদের সাথে মারামারি না করে বুঝিয়ে শুনিয়ে ভাড়া আদায় করতে। রাতারাতি নতুন ভাড়া কার্যকর সম্ভব হবে না জািনয়ে তাদেরকে এ ব্যাপারে রাস্তায় মাইকিং করার জন্য বলা হয়েছে।

শনিবার নগরীর , আগ্রাবাদ , অলংকার ও বহদ্দারহাট এলাকায় নতুন ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতির হওয়ার পর দুটি রুটে  গাড়ি চলাচল বিঘিœত হওয়ার  বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
এর আগে গতকাল শুক্রবারও বিভিন্ন রুটেও ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সাথে বাস শ্রমিকদের মারামারি হয়। এদিকে সরকারি বন্ধ এবং ভাড়া নিয়ে বিরোধের কারণে আজ শনিবার নগরীর ১, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর রুটে গাড়ি চলাচল কম থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

উল্লেখ্য, সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি করার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে বাস ও মিনিবাসে ন্যূনতম ৫টাকা ভাড়া কার্যকর হলে যাত্রীদের সাথে  পরিবহন শ্রমিকদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরী পরবিহন ছাড়া অন্যান্য রুটে সর্বনি¤œ ভাড়া ছিল ২ থেকে ৩ টাকা।

এদিকে রবিবার সাপ্তাহিক খোলার দিন হওয়ায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। এসময় সংঘাত আরো বেড়ে যেতে পারে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা  আশংকা করছেন।        

চট্টলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বাবুল জানান, আজ কয়েকটি স্থানে ভাড়া আদায় নিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ ও ৪ নম্বর রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে  পরে মালিক ও শ্রমিকদের হস্তক্ষেপে পুনরায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়। পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে লোক মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম সিটিবাস , মিনিবাস হিউমান হলার মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ জানান, আমরা সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রথম তিন কিলোমিটারে পাঁচ টাকা আদায় করলেও পরবর্তী প্রতি এক কিলোমিটারে যাত্রীদের কাছ থেকে ১টাকা ৪৫ পয়সার পরিবর্তে ১টাকা আদায় করতে বলেছি। এ ব্যাপারে আমরা যাত্রীদের সহযোগিতা চাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ঘণ্টা, মে ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।