নাটোর: বিষন্নতায় ভুগছে সেই দলছুট হনুমান। লালপুর থানা চত্বরের বটগাছের মগডালে বসে আছে চুপচাপ।
নাটোর সিটি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক নাহিদ সুলতানা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ সঙ্গী বা সঙ্গিনী না থাকায় হনুমানটি হতাশা ও বিষন্নতায় ভুগছে। ’
অন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞদেরও একই অভিমত ।
কেউ কেউ গাছে উঠে ডালের সঙ্গে খাবার বেঁধে দিচ্ছেন। তবু তাতে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না সঙ্গীহীন হনুমান। এমনটি চলতে থাকলে হনুমানটির জীবন বিপন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় দরগা শরীফ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট উইমেন্স কলেজের শিক এহসানুল করিম তুহিন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘হনুমানটিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত কোনো চিড়িয়াখানায় পাঠানো জরুরি। ’
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই হনুমানটির প্রতি আমাদের সহানুভূতি কাজ করেছে। ওর ওপর কেউ যেন অত্যাচার করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে সব পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে। ’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে লালপুর বাজার এলাকার এক মোবাইল টাওয়ারে উঠে চার হনুমান খেলা করছিল। এলাকার অতি উৎসাহী লোকজন তাদের ল্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকলে চারদিকে ছড়িয়ে যাওয়া হনুমানগুলো একে অপরকে হারিয়ে ফেলে।
একটি হনুমান পালিয়ে আশ্রয় নেয় লালপুর উপজেলা হাসপাতাল চত্বরে। সেখানেও লোকজন তার ওপর চড়াও হয়। তাদের খেলায় অতিষ্ট হয়ে হনুমানটি হাসপাতাল লাগোয়া থানা চত্বরে গিয়ে সেখানকার বিশালাকার বটগাছে উঠে পড়ে। গত তিন দিন ধরে সেটিকে ওই গাছেই দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, হনুমানটি তার তিন সঙ্গীর সঙ্গে ভারত বা সীমান্ত এলাকা থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাকে করে লালপুরে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০